অনুসন্ধান রির্পোট, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি:
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার পাশের গর্জনিয়া বাজারে গোরে দেখা মিলে মিয়ানরমার থেকে অবৈধ পথ দিয়ে আনা চোরাই গরু বিকিনিকি হচ্ছে। নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির কঠোর তৎপরতার পরও থামছেনা গরু পাচার। অপরদিকে স্থানীয় প্রশাসনের তৎপরতা না থাকায় অবৈধ পথে আনা চোরাই গরু আনা বন্ধ হচ্ছে না। যার কারনে বিপুল পরিমাণে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার।
বৃহস্পতিবার ২৩ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১ টা গর্জনিয়া বাজারে জমজমাট বেছা কেনা চলছে মায়ানমার থেকে চোরাই পথে আসা এসব গরু।
স্থানীয় কয়েক জনের সাথে কথা বলে তারা জানায়, স্থানীয় প্রভাবশালীদের সমন্নয়ে চলছ এই গরুর ব্যবসা। স্থানীয় সূত্রে আরো জানা যায়, এসব অবৈধ গরু পাচারে ব্যাবহার করা হচ্ছে রামু নাইক্ষ্যংছড়ির অনেক সাধারন মানুষকে। এসবের নিরাপদে পাচারে সহযোগিতা করছে রামুর কচ্ছপিযা গর্জনিয়া,নাইক্ষ্যংছড়ির কয়েক ইউনিযের প্রভাবশালিরা জড়িত।
এদিকে নাইক্ষ্যংছড়ি জোন সদরের দায়িত্ব পূর্ণ রামু উপজেলার গর্জনিয়ার নতুন তিতার পাড়া নামক জায়গা থেকে ১১বিজিবি কর্তৃক মালিক বিহীন ৪ টি বার্মিজ গরু উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানায় জোন জেসিও মোশারফ
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা সময় নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবির বিশেষ টহল দল কর্তৃক নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যাটালিয়ন সদর থেকে আনুমানিক ৪ কিঃমিঃ.পূর্ব দক্ষিণে রামু গর্জনিয়া নতুন তিতার পাড়া নামক স্থান হতে মালিক বিহীন ৪ টি বার্মিজ গরু উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত গরুগুলো জোন সদরে নিয়ে এসেছে বলে সুত্রে জানা যায়।
সম্প্রতি নাইক্ষ্যংছড়ি-মিয়ানমার সীমান্তের কিছু দুর্গম জায়গা দিয়ে বিজিবির চোখকে ফাঁকি দিয়ে চোরাকারবারিরা রাজস্ব বিহীন অবৈধ গরু বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এনে গর্জনিয়া বাজারে বিভিন্ন ভাবে ঢুকিয়ে টাকার বিনিময়ে ইজারা দারদের রশিদ ক্রয় করে বৈধতার প্রাথমিক খেতাব নিয়ে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বাজার জাত করছে করে আসছে।
এইসব অবৈধ গরুর বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি ১১ বিজিবি দিন রাত তাদের তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে। তবে স্থানীয় গর্জনিয়া পুলিশ ফাড়ির অবৈধ মিয়ানমারের গরুর বিরুদ্ধে অভিযান তেমন দৃশ্যমান নয় বলে জানান স্থানীয় অনেকে।
এছড়া পাচার কাজে সোনাইছড়ির জারুলিয়াছড়ি সড়ক ঘুমধুমের বিভিন্ন পযেন্টে দিয়ে নিয়মিত এবং বাইশারি গহীন পাহাড়ি রাস্তা দিযে সশস্ত্র পাহারায় গরুর চালান যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।
Leave a Reply