শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৩৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
রাঙ্গামাটিতে দোলযাত্রা হোলি রঙের উৎসব পালিত বান্দরবানে উদযাপিত করল জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৩ বান্দরবান দলবনিয়া এলাকায় বন্যা দূর্গতদের মাঝে মোবাইল হেলথ ক্যাম্প ইউপিডিএফের ৪ নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে মানিকছড়িতে অবরোধ চলছে কলাবতী শাড়ি আগামীতে দেশের বাইরে রপ্তানিতে ছেয়ে যাবে – শাহ্ মোজাহিদ রোয়াংছড়ি তুলাছড়ি পাড়ায় প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে পিআইসি’র কমিউনিটি চার্টার বিষয়ক মতবিনিময় বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
অবৈধ পাথরের অভিযানে লামার উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর

অবৈধ পাথরের অভিযানে লামার উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি লামাঃ
পরিবেশ ধ্বংস করে, পাহাড় ও ছড়া খুঁড়ে লামায় উত্তোলনকৃত অবৈধ পাথরের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে উপজেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবান। বুধবার (১২ জুন) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা, কাঠাঁলছড়া ও বনপুর এলাকায় অবৈধ পাথরের বিরুদ্ধে এই সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে অংশ নেন, লামা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত সিদ্দিকা, পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের সহকারী পরিচালক একেএম সামিউল আলম কুরসী, পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের ইন্সেপেক্টর নাজনীন সুলতানা নীপা ও লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. আশরাফ সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যারা।

এছাড়া তার আগের দিন মঙ্গলবার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের ইয়াংছা, কাঠাঁলছড়া ও বনপুর এলাকায় অবৈধ মজুদকৃত ৫ লক্ষাধিক পাথরের বিশাল স্টক পরিদর্শন করেন লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি।

অভিযানের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর বান্দরবানের সহকারী পরিচালক একেএম সামিউল আলম কুরসী বলেন, শীঘ্রই লামার ইয়াংছা ও বনপুর অংশে অবৈধ পাথর উত্তোলনের সাথে জড়িত ব্যবসায়ীদের সাধারণ মামলার মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে। বুধবার সরজমিনে আমরা পাথর উত্তোলনের চিত্র, পরিবেশের ক্ষতির মাত্রা ও অবৈধ মজুদকৃত পাথরের স্তুপ পরিদর্শন করেছি। স্থানীয়দের দেয়া তথ্যমতে প্রতীয়মান হয় যে, চলতি মৌসুমে এইসব অবৈধ পাথর ব্যবসায়ীরা কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ লক্ষ ঘনফুট পাথর পাচার করেছে। ইয়াংছা ও বনপুর অংশে বর্তমানে প্রায় ৫ লক্ষাধিক ঘনফুট পাথর মজুদ রয়েছে। অবৈধ পাথর উত্তোলন ও পাচারকারীদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে।

লামা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইশরাত সিদ্দিকা বলেন, সংশ্লিষ্ট বিভাগ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি বলেন, অবৈধ মজুদকৃত পাথর যেন রাতের আধাঁরে পাচার হয়ে না যায় সে ব্যাপারে আমরা সজাগ রয়েছি।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology