বুধবার, ১৪ এপ্রিল ২০২১, ০৭:০৬ অপরাহ্ন
হিল্লোল দত্ত, আলীকদম প্রতিনিধিঃ
স্মরনকালের সবচেয়ে আলোচিত বৈশ্বিক মহামারী কোভিড-১৯ বা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি খাদ্য সহায়তা অব্যহত রেখেছে আলীকদম সেনা জোন।
গত ২৪ মার্চ লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় লকডাউন ঘোষনার পর থেকে এই খাদ্য সহায়ত অব্যহত আছে। খাদ্য সহায়তার আওতায় প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আটা, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি ভোজ্য তেল, ২টি সাবান ও ১ কেজি লবন হিসেবে ২ হাজার পরিবারকে এই ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছে এবং এই খাদ্য সহায়তা অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আলীকদম সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেঃ কর্ণেল সাইফ শামীম পিএসসি।
সোমবার সকালে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কালে তিনি এ তথ্য জানান। তিনি আরো জানান, মঙ্গলবার আলীকদম উপজেলার দুর্গম কুরুক পাতা ইউনিয়নের বুলাই পাড়া এলাকায় সামরিক হেলিকপ্টার ১শ পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তা পৌছানোর কথা রয়েছে।
সোমবার সকালে আলীকদম সেনা জোনের ক্যান্টিন এলাকায় ১শ পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকালে তিনি স্থানীয় জনসাধারণকে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলার স্বার্থে ঘরে থাকার নির্দেশ দেন এবং প্রতিটি পরিবারে খাবার পৌঁছে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। তিনি বলেন একান্ত প্রয়োজনে যদি বাড়ি থেকে বের হতে হয় তাহলে নূন্যতম ৩ ফিট সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাকের রহমতে আমরা এখনো করোনা ভাইরাস থেকে মুক্ত আছি। আপনারা প্রশাসনের আদেশ মেনেছেন বলেই এটা সম্ভব হয়েছে। সুতরাং অহেতুক ঘোরাফেরা না করে সবাই বাড়িতে থাকুন, ভাল থাকুন। সরকার সবার ঘরে ঘরে ত্রান পৌছে দিতে বদ্ধপরিকর। আমরা সেই লক্ষে কাজ করে যাচ্ছি। আপনাদেরকে ভাল রাখতে আমরা বাইরে আছি। আপনারা ঘরে থাকুন।
এদিকে আলীকদম ষ্টুডেন্ট ফোরাম কোভিট-১৯ সংক্রমনের শুরু থেকে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ত্রাণ বিতরণ অব্যহত রেখেছে। এই ধারাবাহিকতায় গত ২৩ মার্চ থেকে এপর্যন্ত লিফলেট, হ্যান্ড স্যানিটাইজার বিতরণ জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি, সামাজিক দুরত্ব নিশ্চয়তাই রং দিয়ে বিভিন্ন দোকানপাঠে দাঁড়ানোর স্থান চিহ্নিতকরণ ও খাদ্য সহায়তা প্রদান সহ বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। একই সাথে হটলাইন নম্বর সংযোজনের মাধ্যমে মধ্যবিত্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান করে আসছে।
এবিষয়ে আলীকদম ষ্টুডেন্ট ফোরামের সমন্বয়ক বদিউর রহমান রুস্তম ও সাইফুল ইসলাম রিমন জানান, আমরা এপর্যন্ত ৭শ ২০ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিতে সক্ষম হয়েছি। সামনে মাহে রমজান। এই সময়টা নি¤œ ও নি¤œমধ্যবিত্তদের জন্য অনেকটা কষ্টকর সময়। লকডাউন থাকায় সাধারণ খেটে খাওয়া শ্রেণীর লোকজন কাজ করতে পারবেনা। যার কারণে অনেকটা খাদ্য সংকটে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে বিষয়টি মাথায় নিয়ে আমরা মাহে রমজানে পর্যাপ্ত খাদ্য সহায়তা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমরা স্থানীয় বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানাই তারা যেন মহৎ এই কাজে আমাদের পাশে দাঁড়ান।
Leave a Reply