মোঃ শাহ আলমঃ
১৮ মার্চ অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে পার্বত্য আলীকদমে নির্বাচনী পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। নির্বাচনকে ঘিয়ে দুই প্রার্থী একে অপরের অভিযোগ এনে পৃথক সংবাদ সন্মেলন করেছে।
আজ ও শুক্রবার (১৫ মার্চ) আলীকদমে প্রেসক্লাবে বেলা ১১ ঘটিকার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আবুল কালাম ও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী জামাল উদ্দিনের পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেন। সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র ও সরকার দলীয় প্রার্থী পরস্পর বিরোধী বক্তব্য দেন।
সংবাদ সম্মেলনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালাম বলেন, আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষন্বিত হয়ে আলীকদম থানার ওসি রফিক উল্লাহ নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জামাল উদ্দীনের পক্ষাবলম্বন করছেন। ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ ভোটার ও নেতা কর্মিদের বিভিন্ন মামলা-মোকাদ্দমায় জড়ানোর হুমকি দিচ্ছে। আলীকদম থানার ওসি ও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জামাল উদ্দিনের ছাত্র জীবনে রাজনীতির একই আদর্শের কথা তুলে ধরে বলেন, এরা দু’জন শিবিরের রাজনীতি করতেন, উভয়ে ঘনিষ্ট বন্ধু। ভোট কারচুপি করে জামাল উদ্দিনকে চেয়ারম্যান বানিয়ে দেয়ার জন্য গোপনে কাজ করছেন। এর আশংকায় সংবাদ সম্মেলনে আবুল কালাম আলীকদম থানার ওসির প্রত্যাহারের দাবী জানান।
একইদিন বেলা সাড়ে ৩টায় আওয়ামীলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন আওয়ামীলীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী জামাল উদ্দিন। তিনি বলেন,আলীকদম উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আবুল কালাম নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে আচরণ বিধি লঙ্ঘন ও বহিরাগত সন্ত্রাসী এনে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে। আমার পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ গত ১১ মার্চ প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব ও জেলা রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে মেইলে এবং ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বিএনপি থেকে বহিস্কৃত স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম গত নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর পর থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে গভীর রাত পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা জনসভা করে যাচ্ছেন। তাকে আচরণ বিধি মেনে চলার জন্য স্থানীয় প্রশাসন থেকে নিষেধের পরও পেশি শক্তি দিয়ে বাধা-নিষেধ তোয়াক্কা করছেন না। তিনি নিজের দোষ ঢাকতে স্থানীয় প্রশাসন তথা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিতর্কিত করতে আলীকদম থানার ওসি রফিক উল্লাহ্-সহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে তিনি মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। মিথ্যা প্রচারণা করে নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের মানহানি করছেন। মিথ্যাচার করা স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল কালামের স্বভাবধর্ম। বিগত নির্বাচনগুলোতে স্বতন্ত্র কালাম চকরিয়া, কক্সবাজার, উখিয়া, টেকনাফ ও মহেশখালী থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে আনার রেকর্ড রয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ আনা হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী একাধিক জনসভায় প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীকে জামাল উদ্দিনকে হত্যার হুমকী দিয়েছেন।
Leave a Reply