বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:১০ পূর্বাহ্ন
মোঃ শাহ আলম, আলীকদম প্রতিনিধি:
আলীকদম উপজেলার অন্তরগত আলীকদম-থানচি সড়ক ১৭ কিলোতে অবস্থিত দামতোয়া ঝর্ণা। লোক চুক্ষর অাড়ালে থাকা তিন পার্বত্য জেলায় সব চেয়ে বড় প্রাকৃতিক ঝর্না দামতোয়া। ২০১৫ সালে সর্বপ্রথম জনসম্মুকে আসে এ ঝর্ণাটি তারপর থেকে দলে দলে স্থানিয় লোকেরা ছুটে যায় দামতোয়ার সাদা জলের টানে।
বর্ষাকাল শেষ না হতেই পর্যটকদের পদভারে আন্দোলিত দামতোয়ার জল। দূর্গম পাহাড় ও পাহাড়ি ঝিরি পার হয়ে দামতোয়া যেতে সময় লাগে পায়ে হেটে দুই ঘন্টা। ঝিরির বুকে বিশাল বিশাল পাথর এবং পাহাড়ের জুম চাষ পর্যটক ও ভ্রমণ পিপাসু মানুষের মনে এনে দেয় আনন্দের নতুন মত্রা।
একপাশে খাড়া পাথরের পাহাড় বেয়ে নেমে আসে জল রাশি রাশি অন্যদিকে পাহাড়ে বুকছিড়ে নেমেছে ঝর্ণার জল। প্রায় ৬মিটার প্রস্ত দামতোয়া ঝর্ণার স্থানীয় নাম “তুঘ-ধামতোয়া” ঝর্নাটির বিশেষ বিশেষত্ব মুল ঝর্না থেকে ৩০০ফিট দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত জলপ্রাত। প্রায় ১৫ মিটার চওড়া এ জলপ্রপাতটি কাচখাটা কঠিন ঢেউ খেলানো শিলার মধ্যে প্রচন্ড পানির স্রোতে সংখ্যাতিত ঢেউ তৈরি করে।
ঝর্নাটির সার্বিক উন্নয়ন সংগঠিত হলে আলীকদম ও থানচি উপজেলা পর্যটন খাতে নতুন সম্ভবনা দ্বার উন্মুচন হবে বলে মনে করেন এলাকাবাসি ও স্থানীয় ঝর্নাটি দেখতে যাওয়া লোকেরা।
গতকাল সোমবার ২৭ আগস্ট আলীকদম উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজিমুল হায়দার ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম দামতোয়া ঝর্ণা পরিদর্শন করেন।
এদিকে আলীকদম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম বলেন, আলীকদম উপজেলা অনতিদূর অবস্থিত দামতোয়া ঝর্ণায় আমার প্রথম আসা। আসার রাস্তা বেশ সুবিধা জনক না হওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। অতিশীঘ্রই এ ঝর্ণার উন্নয় লক্ষে চারহাত (৬ ফিট) প্রশস্ত রাস্তা তৈরি করা দেয়া হবে বলে তিনি জানান বান্দরবান প্রতিদিনকে।
পরিদর্শন কালে ইউএনও নাজিমুল হায়দার বলেন, প্রকৃতির যজ্ঞপুরে লোকিয়ে থাকা দামতোয়া ঝর্ণা অত্যান্ত সুন্দর ও বিশাল। এটিই তিন পার্বত্য জেলার সবচেয়ে বড় ঝর্ণা। কিন্তু দূর্গম ও যাতায়ত ব্যাস্থার তেমন সুযোগ গড়ে না উঠায় দেশি বিদেশি পর্যটক আকর্শনে কিছুটা ব্যার্থ বলে মনে করেণ ইউএনও।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার সারাদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান সমুহের উন্নয়নে সদা সচেষ্ট আলীকদম উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দামতোয়া ঝর্ণার উন্নয়নে সার্বিক ব্যাবস্থা করা হবে।
Leave a Reply