শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন খাগড়াছড়ি মানিকছড়িতে মাশরুম চাষে সফল ইঞ্জিনিয়ার সানি মারমা বান্দরবান রাজার মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আওয়ামীলীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন: সভাপতি মংপু ও সাঃ সম্পাদক নাছির পাহাড়ে কি নাম ধরে তারা আসছে সেটা আমাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাঙ্গামাটি শহরে হঠাৎ দেখা মিলল ‘দাগি-বসন্ত’ পাখি বান্দরবান রাজার মাঠ সংলগ্ন পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
আলীকদম জোনের উদ্যোগে সাঙ্গু দূর্বার শিশু নিকেতন’ স্কুল প্রতিষ্ঠিত

আলীকদম জোনের উদ্যোগে সাঙ্গু দূর্বার শিশু নিকেতন’ স্কুল প্রতিষ্ঠিত

রিমন পালিত,ষ্টাফ রির্পোটারঃ
আলীকদম জোন ও স্যানি ইন্টারন্যাশন্যাল উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত একটি বিদ্যালয় শিক্ষা জ্ঞানের আলো জালিয়েছে দুর্গম এলাকায়। দেশ স্বাধীনের পর থেকে যেখানে কোন বিদ্যালয় ছিলনা, সেখানেই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় নির্মাণের মাধ্যমে দূর্গমের পাহাড়ী- অপাহাড়ী শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষার অপার সুযোগ সৃষ্টি হলো।

আলীকদম জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল মো: মাহবুবুর রহমান পিএসসি’র একান্ত প্রচেষ্টায় লামা উপজেলার দূর্গম গয়ালমারা সন্ত্রাস প্রবন এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হলো ‘ সাঙ্গু দূর্বার শিশু নিকেতন নামে’ একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জম্ম থেকে যেসব শিশুরা কেবল সন্ত্রাসীদের আনাগোনা দেখে আসছিল, সে শিশুরা এখন থেকে শিক্ষার মতো একটি মৌলিক অধিকার পেতে শুরু করেছে। আলীকদম জোন মূলত এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি সুদীর্ঘ কাল থেকে শিক্ষা বিস্তারেও ব্যাপক অবদান রেখে যাচ্ছে। প্রাথমকি থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিস্তারে সেনা বাহিনী আলীকদম জোন প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে কাজ করে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি লামা উপজেলার দূর্গম গয়ালমার গ্রামে শিক্ষা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দিতে জোন কমান্ডার লে: কর্নেল মো: মাহবুবুর রহমান পিএসসি গয়ালমারা গ্রামে ‘সাঙ্গু দূর্বার শিশু নিকেতন’ নাম করণে একটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।

সকালে এই শিশু নিকেতনটির শুভ উদ্বোধন করেন আলীকদম জোনের সেনা কর্মকর্তারা। জোনের এই মহতি প্রয়াসে লামা ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদারসহ এলাকার অন্যরা সহায়তা করেন। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় জমি দিয়ে সহায়তা করেন স্থানীয়রা। বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠার ফলে দূর্গমের পাহাড়ি এবং বাঙ্গালী শিশুরা এখন থেকে শিক্ষার মুখি হবে বলে স্থানীয়রা এমন প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন।
তারা জানান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের পাশাপাশি শিক্ষা, চিকিৎসাসহ জনগনের মৌলিক অধিকারগুলো প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে। ফাঁসিয়াখালী ইউপি চেয়ারম্যান জাকের হোসেন মজুমদার বলেন, দূর্গম গয়ালমারা গ্রামে এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা হওয়ায় শিশুরা শিক্ষার আলোয় মুখরিত হবে একই সাথে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড কমে আসবে।

গয়ালমারা এলাকাটি লামা উপজেলার সর্ব দক্ষিণে একেবারে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে হওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে যোগাযোগ কষ্ট সাধ্য। লামা উপজেলার সন্ত্রাস প্রবন এলাকা গয়াল মারা গ্রামে সেনা কর্তৃপক্ষের এই উদার ও মানবিক প্রয়াসে পাহাড়িরা খুবই মুগ্ধ হয়েছেন বলে সেখানকার হেডম্যান কারবারীরা জানিয়েছেন।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology