বুধবার, ১০ অগাস্ট ২০২২, ১১:০০ পূর্বাহ্ন
হিল্লোল দত্ত,আলীকদমঃ
বান্দরবান জেলার আলীকদম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সের ল্যাবরেটরী টেকনোলজীষ্ট মাহাফুজুর রহমান সরকারী হাসপাতালের ল্যাবে বসে যতসব কান্ড ঘটিয়ে চলেছেন। কোন খুটির জোরে তিনি এসব কর্মকান্ড ঘটিয়ে চলেছেন তা সবারই অজানা।তবে স্থানীয়দের অভিযোগ ১৩/১৪ বছর একই কর্মস্থলে থেকে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে তিনি এ ধরনের কর্মকান্ড করে চলেছেন।
সম্প্রতি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন রোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় ল্যাব টেকনোলজীষ্ট মাহাফুজুর রহমান অফিস টাইমে টোকেনের মাধ্যমে বাইরের ঔষধের দোকান আহমদিয়া মেডিকেল হলের দোকানদারের সাথে যোগসাজসে পরীক্ষার ডিভাইসসহ ইনজেকশনের সিরিঞ্জ রোগীদের দিয়ে ক্রয় করিয়ে এনে সরকারী হাসপাতালের ল্যাবে বসে পরীক্ষা করে পরীক্ষার রির্পোট দিচ্ছেন। এমনকি তিনি রোগীদেরকে যে টোকেন দিচ্ছেন তাতে রিয়েজেন্ট ও ডিভাইসের মূল্যটাও নির্ধারিত ভাবে লিখে দেন এবং বলেদেন নির্ধারিত দোকান থেকে এইসব ঔষধপত্র নিতে হবে অন্যকোথাও এগুলো পাওয়া যায় না। এমনকি তিনি আউটডোরের রোগীর টিকিটে ডাক্তারের লিখে দেওয়া পরীক্ষার নিচে এক্সট্রাভাবে পরীক্ষা লিখে দিয়ে রোগীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাসিল করেন।
এসময় রোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে আউটডোরের চিকিৎসককে রোগীর ব্যবস্থাপত্রে অতিরিক্ত পরীক্ষা লিখেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, এ পরীক্ষা আমি এডভাইস করিনি কে করেছে সেটাও বলতে পারবো না। বিষয়টি অনুসন্ধানে নেমে উঠে আসে আরো তথ্য, যে ঔষধের দোকানে মেডিকেল টেকনোলজীষ্ট মাহাফুজুর রহমান বসেন, অফিস টাইমে রোগীদেরকে ঐ দোকানেই পাঠান রিয়েজেন্ট ও ডিভাইস কেনার জন্য। উক্ত দোকানের ল্যাবেই তিনি অফিস টাইমের পর পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন।পরীক্ষার এসব ডিভাইস ও রিয়েজেন্ট তিনি নিজে ক্রয় করে এনে উক্ত দোকানে সংরক্ষন করে রাখেন আর অফিস টাইমে রোগী পাঠিয়ে সেগুলো ক্রয় করান।আর এগুলো ক্রয় করে নিয়ে আসার পর রোগীদেরকে জেরা করেন কাউকে বলা হয়েছে কিনা এব্যাপারে এটা জানতে চেয়ে।
এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে ল্যাব টেকনোলজীষ্ট মাহাফুজুর রহমানকে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে জানতে আলীকদম স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা মো: শহীদুর রহমানকে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে ব্যস্ত আছেন বলে জানান। এবং পরবর্তিতে ফোন করলেও তিনি আর ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বান্দরবান জেলার সিভিল সার্জন অংসুইপ্রু মারমা বলেন, হাসপাতালে অধিকাংশ পরীক্ষা নিরীক্ষা ফ্রি,অল্প কিছু পরীক্ষার ফি নির্ধারিত করা অাছে আর সেই পরীক্ষার ফি গুলো সরকারী কোষাগারে জমা হয়। বাইরে থেকে পরীক্ষার রিয়েজেন্ট কিনে এনে সরকারী ল্যাবে পরীক্ষা করার কোনো সুযোগ নেই, এটা কারো ব্যাক্তিগত ল্যাব না । অতিসত্বর এ ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং তদন্ত টিম পাঠানো হবে।
Leave a Reply