বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
শফিক আজাদ,উখিয়া সংবাদদাতাঃ
প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা এবং আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় উখিয়ায় আমনের বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকেরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পুরোদমে ধান কাটা শুরু করেছে। আর গোলাভরা ধান ঘরে তুলতে পারায় মহা খুশি কৃষকেরা। এতে গ্রামীন অর্থনীতিতে সুফল প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় সুশীল সমাজের লোকজন।
কৃষি বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৫ ইউনিয়নে ৯ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে এবার আমন চাষাবাদে চালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৬ হাজার ৫ মেট্টিক টন। যাহা প্রতি একরে ২.২২মেট্টিক টন ধান। কিন্তু চাহিদার তুলনায় অনেক ফলন ভাল হয়েছে।
উখিয়া উপজেলার রাজাপালং, রতœাপালং, পালংখালী ইউনিয়ন ঘুরে স্থানীয় কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, চলতি বছর থেকে ধানের দাম বেড়ে যাওয়া এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় কৃষকেরা বেশি করে লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এমতাবস্থায় আমন ধান কাটার পূর্ব মুহুর্তে আকস্মিক ভাবে ধানের দাম বেড়ে যাওয়া খবরে খুশিতে আত্মহারা কৃষকেরা। ক্ষেতের ধান ঘরে তুলে প্রক্রিয়াজাত করণ করে গোলায় ভরতে কৃষকদের অতিরক্ত মজুরী গুনতে হবেনা। তাদের বক্তব্য এবার শ্রমিকের কোন ঘাটতি নেই। শ্রমিকের মজুরীও বেশি নয় বলে তারা এসব কৃষকেরা।
উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের কৃষক হোছন আলী মেম্বার বলেন, সে ৪/৫ একর জমিতে আমন চাষাবাদ করেছে। ইতিমধ্যে ২ একরের মতো ধান ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে। আর বাকী ৩ একর জমির ধান এখনো মাঠে রয়ে গেছে।
আরো বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক ভাল হয়েছে ফলন। প্রতি ১ একর জমিতে ২৫০ আড়ি (২.২২ মেট্টিক টন) ধান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উপজেলা সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান, সময় মতো সার সরবরাহ ও আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারনে পরপর তিন বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। যার ফলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়েছে আমন চাষাবাদে। এবার কৃষকেরা আমন চাষাবাদে আর্থিক লাভবান হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
Leave a Reply