আব্দুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ
বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের পশ্চিম বাইশারীতে গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম গর্জন ছড়ার উপর ব্রীজ। ব্রীজটি নির্মান হওয়ায় পাল্টে যাচ্ছে দশ গ্রামের জীবন মানের চিত্র। দীর্ঘকাল যাবৎ ব্রীজ না থাকায় হাজারো মানুষ চরম দ‚র্ভোগের শিকার হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে যেতে অনেক দ‚র্ভোগ পোহাতে হয়েছে। বর্তমানে ব্রীজটি নির্মানের ফলে করলিয়ামুরা, হলুদিয়াশিয়া, গোদাম পাড়া, ইসলামিয়া বালিকা মাদ্রাসার ছাত্রী, বাইশারী উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ছাত্র, ছাত্রীরাসহ হাজারো জনসাধারন সহজে যাতায়াত করতে সম্ভব হয়েছে।

অবহেলায় পড়েথাকা এসব জনপদ এখন অনেক উন্নত হবে বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দা আলহাজ মোঃ ইলিয়াছ সওদাগর। তিনি জানান, বাইশারী বাজার থেকে গ্রামটির অবস্থান অতি নিকটে হলে ও ব্রীজটির জন্য বাজারঘাট, স্কুল, মাদ্রাসায় যেতে এক কিলোমিটার ঘুরে যেতে হতো। এখন সহজেই যাতায়ত করা যাচ্ছে। লাগব হয়েছে চরম দ‚র্ভোগ। গ্রামটি শিক্ষা দিক্ষায় এগিয়ে থাকলেও এই ব্রীজটির জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক কিছুতে পিছিয়ে ছিল। ব্রীজটির নির্মানের ফলে এলাকার উন্নয়নের চাকা ঘুরবে এটা আমার বিশ^াস। তাই তিনি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানিকে ধন্যবাদ জানান।

শাহ নুরদ্দিন মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আবদুল গফুর জানান, দীর্ঘদিন পরে হলে ও ব্রীজটি নির্মাণ হওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এবং বয়স্ককরা সহজে যাতায়াত করতে পারছে। তিনি ব্রীজটি নির্মানের দায়িত্বে নিয়োজিত সকলের প্রতি মোবারক বাদ জানান।

বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম কোম্পানী বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈচিং এমপি ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতায় বাইশারীতে শুধু ব্রীজ নয় স্কুল, কলেজ মাদ্রাসা, মসজিদ, বৌদ্ধ বিহার, মন্দির রাস্তাঘাটসহ শতকোটি টাকার উন্নয়ন মুলক কাজ চলছে। আগমীতেও এই কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ব্রীজটির উভয় পাশে প্রশারের জন্য আলাদা বরাদ্ধ রাখা হবে যাতে করে সহজে মাঝারি গাড়ীগুলো চলাচল করতে পারে এবং গূদাম পাড়া সংযোগ সড়ক পর্যন্ত ব্রীক সলিন করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।