শুক্রবার, ২০ মে ২০২২, ০৫:৩০ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
মাত্র একদিনের ব্যবধানে বান্দরবানের সন্ত্রাসীদের গুলিতে আরো একজন জনসংহতি সমিতির সমর্থক নিহত হয়েছেন। তার নাম জয় মনি তঞ্চঙ্গ্যা (৫২)। তার ছেলে জনসংহতি সমিতির স্থানিয় নেতা রিপন তঞ্চঙ্গ্যাকে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।
ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৮ টার দিকে কুহালং ইউনিয়নের বিকুক ছড়ার ৩ নং রাবার বাগান এলাকায়। এ ঘটনার পর ঐ এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের দুটি দল অভিযানে নেমেছে।
গত মঙ্গলবার (৭ মে) রাতে একদল সন্ত্রাসী রাজবিলা ইউনিয়নের তাইংখালী এলাকায় হানা দিয়ে জনসংহতি সমিতির কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। সন্ত্রাসীরা অপহরন করে নিয়ে যায় অপর কর্মী পুরাধন তঞ্চঙ্গ্যাকে। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই কাছাকাছি এলাকা কিবুক ছড়ায় আবারো রক্ত ঝড়লো।
কুহালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সানু প্রু মারমা জানান, অন্ত্রধারী ৫ সন্ত্রাসী ৩ নং রাবার বাগান এলাকার তঞ্চঙ্গ্যা পাড়ায় হানা দিয়ে জনসংহতি সমিতির স্থানিয় নেতা রিপন তঞ্চঙ্গ্যাকে (২৮) খোঁজ করে। তাকে ঘরে না পেয়ে সন্ত্রাসীরা তার বাবা জয়মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। নিহত জয়মনি এলাকায় লাকড়ি ও কাঠের ব্যবসা করতো।
এ ঘটনার পর কিবুক ছড়া ও রাজবিলা এলাকার সাধান মানুষের মধ্যে আতংক উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। আতংকের মধ্যে দিন কাটচ্ছে আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতি তাদের সহযোগি সংগঠন পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা কর্মীরা। কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে তা এখনো জানা না গেলেও জনসংহতি সমিতির নেতৃবিন্দ জানিয়েছেন মায়ানমারের দলছুট বিদ্রাহী গ্রুপ আরাকান লিবারেশন আর্মির সদস্যরা এই হত্যার সাথে জড়িত রয়েছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়েছে। লাশ উদ্ধার করে বান্দরবান সদর পাসপাতালে আনা হয়েছে। কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে তা এখনই বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। এদিকে স্থানিয়দের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে আধিপত্ত বিস্তার নিয়ে জনসংহতি সমিতির সাথে দল ছুট আরাকান লিবারেশন আর্মি প্রকাশ মগ বাহিনীর মধ্যেকার চলামান দ্বন্দ্বের জের ধরে একে অপরের প্রতি প্রতিশোধ নিতেই একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটেছে।
Leave a Reply