শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
রাঙ্গামাটিতে দোলযাত্রা হোলি রঙের উৎসব পালিত বান্দরবানে উদযাপিত করল জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৩ বান্দরবান দলবনিয়া এলাকায় বন্যা দূর্গতদের মাঝে মোবাইল হেলথ ক্যাম্প ইউপিডিএফের ৪ নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে মানিকছড়িতে অবরোধ চলছে কলাবতী শাড়ি আগামীতে দেশের বাইরে রপ্তানিতে ছেয়ে যাবে – শাহ্ মোজাহিদ রোয়াংছড়ি তুলাছড়ি পাড়ায় প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে পিআইসি’র কমিউনিটি চার্টার বিষয়ক মতবিনিময় বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
এক পঞ্চমাংশ জমি বাড়ল বাংলাদেশের

এক পঞ্চমাংশ জমি বাড়ল বাংলাদেশের

নিজস্ব প্রতিবেদক,
নদীতে চর জেগে উঠায় বাংলাদেশ প্রায় ২০ ভাগ (এক পঞ্চমাংশ) নতুন ভূমি পেয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর মাধ্যমে আরও নতুন জমি পাওয়া যাবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

জেগে উঠা এসব জমির ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি জমির পরিমাণ বাড়াতে চান মন্ত্রী। আর এর মাধ্যমে জমি সংকটের কিছুটা হলেও পরিত্রাণের আশা করছেন তিনি।

রবিবার পরিকল্পনা বিভাগের আওতায় সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদের দুটি গবেষণা ফলাফল সংক্রান্ত কর্মশালায় পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

তবে জেগে উঠা ২০ ভাগ জমি বলতে মন্ত্রী কী বুঝিয়েছেন, সে ব্যাখ্যা বিজ্ঞপ্তিতে দেয়া হয়নি। এটি বাংলাদেশের মোট আয়তনের ২০ শতাংশ নাকি চরের ২০ শতাংশ নাকি কৃষি জমির ২০ শতাংশ সেটি স্পষ্ট করা হয়নি।

এ বিষয়ে জানতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা গাজী তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও কিছু বলতে পারেননি। বলেন, ‘স্যার কী বুঝিয়েছেন, সেটা আমাদেরকে বলেননি। কাজেই ঠিক বলতে পারছি না।’

এর ব্যাখ্যা কে দিতে পারবেন, সে বিষয়েও জনসংযোগ কর্মকর্তা কিছু বলতে পারেননি। আর কর্মদিবসে মন্ত্রণালয়ে গিয়ে খোঁজ নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

পরে বিষয়টি নিয়ে জানতে পরিকল্পনামন্ত্রীর অফিসিয়াল মোবাইল নম্বরে কল দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মন্ত্রী কর্মশালায় বলেন, ‘গত তিন-চার বছরে আমরা ২০ শতাংশ নতুন জমি পেয়েছি। প্রচুর চর জেগে উঠেছে। তাছাড়া নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিং এর মাধ্যমেও অনেক জমি পাওয়া যাবে। এসব জমির সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে কৃষি জমি বাড়াতে হবে।’

কর্মশালায় ‘কেস স্টাডি অব বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন: ‘ডেভেলপমেন্ট অব ট্যুরিজম ইন্ডাস্ট্রি ইন বাংলাদেশ’ এবং ‘ক্রপ ডাইভারসিফিকেশন অ্যান্ড ফুড সিকিউরিটি ইন নর্থওয়েস্ট বাংলাদেশ’ শীর্ষক দুটি গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। তবে এ বিষয়েও বিজ্ঞপ্তিতে বিস্তারিত জানানো হয়নি।

কর্মশালায় মন্ত্রী বলেন, ‘যেসব বিদেশি এদেশে ব্যবসা করতে আসেন তাদেরকে আমরা ট্যুরিস্ট হিসেবে ধরি। এটা ঠিক নয়। তারা আসেন ব্যবসা করতে, বেড়াতে নয়। এজন্যই সঠিক পর্যটকের সংখ্যা পাওয়া যায় না।’

পর্যটন, তথ্য ও প্রযুক্তি এবং স্বাস্থ্য সেবাকে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য সম্ভাবনাময় খাত উল্লেখ করেন মন্ত্রী। বলেন, ‘এসব খাতে উন্নতি করার মাধ্যমে অর্থনীতি টেকসই করা সম্ভব।’ এসময় তিনি এ তিনটি খাতের উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের হাতে টাকা হলেই মানুষ এক দেশ আরেক দেশে বেরিয়ে পড়ে, এটা মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। শুধুমাত্র এই পর্যটন শিল্পকে কাজে লাগিয়েই নেপাল অনেক বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। তাহলে বাংলাদেশ পারবে না কেন?’ তাই দেশের টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।’

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলাম, বাস্তবায়ন,পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন ভিবভাগের (আইএমইমইডি) সচিব মফিজুল ইসলামসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology