মঙ্গলবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৩, ০১:১৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কোরবান ঈদকে কেন্দ্র করে প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসে মেঘের আরালে থাকা সবুজ পাহাড় ঘেড়া বান্দরবান পার্বত্য জেলাতে। পর্যটকরা পাহাড়ে উপভোগ করতে ছুটে আসে আকা বাকা পাহড়ি মেঝো পথে। নীলাচলে দাঁড়িয়ে মেঘের স্পর্শ আর শৈলপ্রপাতের মন কাড়ানো ঝর্ণার জলধারা যে কারো মনে দাগ কেটে যায় ।
ঈদ এলেই মেঘলা, নীলাচল,বনপ্রপাত,স্ব র্ণ মন্দির, রামজাদি, শৈলপ্রপাত, নীলগিরিসহ বিভিন্ন দর্শনীয় পর্যটন কেন্দ্রে হাজারও পযর্টকের ভিড় লেগে থাকে বান্দরবানে। তবে এবার ঈদে বান্দরবানে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় নেই। প্রতি বছরের তুলনায় এই বছর পর্যটকদের সংখ্যা অনেকটা কম। অন্যান্য বছরের এই সময় বান্দরবান শহরের হোটেল-মোটেল এবং পর্যটন স্পট গুলোতে ভিড় লেগে থাকে। এসময় উৎসব মূখর পরিবেশ বিরাজ থাকে।
চাঁদের গাড়ি চালক মো : বাদশাহ বলেন, গত বছরের ঈদের ২দিন আগে থেকে পর্যটক ভিড় ছিল । কিন্তু সে পরিমাণ পর্যটকের দেখা মিলছে না । তবে ঈদের পরের দিন হয়তো ১৪-১৫ কিছু পর্যটক হতে পারে ।
হোটেল মোটেল মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমরা আশা করে ছিলাম এই ঈদের টানা ৯দিন সরকারি বন্ধ থাকায় এবার পর্যটকরা বান্দরবানে সমাবেত হবে। কিন্তু তা একেবারেই ভিন্ন চিত্র। ঈদের আগে হোটেলগুলোতে বুকিং দেয়া হলেও পরর্বতিতে বাতিল করে দিচ্ছে। এতে পর্যটন ব্যবসায়িরা হতাশ হচ্ছেন।
নীলাচল পর্যটন কেন্দ্র দায়িত্বে থাকা ম্যানেজার আদিত বড়ুয়া বলেন, ঈদের ১ম দিন ও ২য় দিন মিলে টিকেট বিক্রি হয়েছে ৬০০-১০০০ টি । যা অন্য বছরের তুলনায় একদম কম ।
পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, ঈদে পর্যটকদের নিরাপত্তায় সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। টুরিস্ট পুলিশ ও সাদা পোশাকধারী পুলিশ যুক্ত করা হয়েছে। সারা দেশে বন্যা, ডেঙ্গু ও বান্দরবানে রক্তক্ষয়ী ঘটনার কারণে পর্যটন ব্যবসা নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বলে মত দিয়েছেন বান্দরবানে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা।
Leave a Reply