শুক্রবার, ০৯ Jun ২০২৩, ০৩:০৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বান্দরবান রোয়াংছড়ি ইউনিয়নের কচ্ছপতলী লেগয় পাড়া স্কুলের পাশে রাস্তাটি ভেঙ্গে খাদে পরিণত হয়েছে। কচ্ছপতলী হতে রোয়াাংছড়ি ও বান্দরবান একটি মাত্র রাস্তাটিকে ঘিরে হাজারো মানুষের যাতায়াত । চাষীদের ফলানো বিভিন্ন শস্য ও ফলজ নায্য দাম পাচ্ছে না, সাধারণ মানুষ,কর্মজীবি,শ্রমজীবি,স্কুলগামী ছাত্র-ছাত্রীদের দৈনন্দিন যাতায়াত ভোগচ্ছে চরম ভোগান্তিতে।
সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবসীরা বলেন, গত ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের ভেঙ্গে যাওয়া লেগয় পাড়া স্কুলের পাশে রাস্তাটি মেরামতের জন্য দেড় লাখ টাকা এবং বেক্ষ্যং পাড়া এলাকায় পাহাড় ধসে রাস্তা থেকে মাটি সরানো কাজে ২ লাখ টাকার বরাদ্দ দেয়া হয় উপজেলা পরিষদ থেকে। অর্থায়ন করেছে এডিবি এবং বাস্তবায়ন করেছে এলজিইডি। মাটি সরানো কাজ সম্পন্ন করলেও ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তাটি এক টাকার ও কাজ করা হয়নি বলে জানায় এলাকাবাসীরা। রাস্তাটি মেরামতের জন্য আলেক্ষ্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিশ্বনাথকে দেয়া হয়েছিল। ব্যক্তিগত কাজের জন্য ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তাটি পাশ দিয়ে মাটি কেটে রাস্তা তৈরী করেছিল ঠিকাদার থোয়াইচ প্রু।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে লেগয় পাড়া বাসিন্দা জানায়, এই এলাকার মানুষ আয় রোজগার হয় এই রাস্তাটিকে ঘিরে। গত বছরে রাস্তাটি মেরামতের জন্য দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল উপজেলা পরিষদ থেকে। কিন্ত দুঃখের বিষয় রাস্তার কোন মেরামত দেখিনি। একটি ইটও পড়েনি,বরঞ্চ বৃষ্টির ঢলে আরো ভেঙ্গে যাচ্ছে।
সবজি ব্যাপারী আলমগীর বলেন, রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্যবসা তেমন সুবিধা হচ্ছে না। বিভিন্ন শস্য ও ফলজ বোঝা ট্রাকগুলো কাদায় গর্তে আটকে থাকে, এটে গাড়ী বদল করতে হয়, খরচ বেড়ে যায়। দুইদিন আগে আমাদের সবজি বোঝা ট্রাক আটকে গিয়েছিল। নিজেদের খরচ দিয়ে ইটের আগলা দিয়ে কাদা,গর্ত জায়গায় ইট বিছিয়ে যাতায়াত করছি।
রোয়াংছড়ি সিএনজি ড্রাইভার বলেন, দেড় লাখ টাকা রাস্তা মেরামতের কথা শুনেছি কোন কাজ দেখিনি। একটু বৃষ্টি হলে যান চলাচল বন্ধ রাখতে হয়। আমরা ড্রাইভার ও ব্যবসায়ী নিজেরা টাকা তুলে কাদা জায়গা ইট দিয়ে যান চলাচল উপযোগী করছি। রাস্তার মেরামতের জন্য ব্যক্তিগত ভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান ক্যবামং কয়েকবার আর্থিক সাহায্য করেছিল।
রোয়াংছড়ি এলজিইডি উপ-প্রকৌশলী একেএম আলী আজহার জানান, বিশ্বনাথ চেয়ারম্যানকে মেরামতের কাজ করার জন্য দেওয়া হয়েছিল। চেয়ারম্যান কারোর মাধ্যমে কাজ করে থাকলে সেটি তার ব্যাপার। আমরা কাজ দেখে শুনে বিল পাশ করি।
ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ মুঠো ফোনে জানায়, আমি এখন ঢাকায় আছি। বিস্তারিত কিছু না বলে ফোন কেটে দেয়।
উপজেলা চেয়ারম্যন ক্যবামং সাক্ষ্যাংকারে বলেন, গত ২০১৭-২০১৮ অর্থ বছরের ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তা মেরামতে বরাদ্দের সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম না। মেরামত কাজ শেষে দায়িত্ব নিই। বিশ্বনাথ কিভাবে রাস্তা মেরামত করেছে সেটি এলজিইডি বলতে পারবে। আমরা কচ্ছপতলী রাস্তাটি নতুনভাবে সংস্কারের জন্য ম্যাপসহ এলজিইডিতে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদনও হয়েছে। অর্থ বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু হবে।
আশা করি অতিশীঘ্রই এই ভোগন্তি থেকে এলাকাবাসীরা রেহাই পাবে।
Leave a Reply