বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ১১:৩০ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শনিবার থেকে টানা ৯ দিনে ভারী বর্ষণে উজানের পাহাড়ি ঢলে শঙ্খ নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় বান্দরবান শহরে দেখা দিয়েছে বন্যা। শহরে বাস স্টেশন, ইসলামপুর, হাফেজ ঘোনা, আর্মি পাড়া, বালাঘাটা, কালাঘাটা, ক্যচিংঘাটা, মধ্যম পাড়া, উজানী পাড়া, বাজার এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা সৃষ্টি হয়। এতে দুর্ভোগ পরেছে হাজারো মানুষ। রবিবার ১৪ তারিখ থেকে বৃষ্টি কমায় শঙ্খ নদীর পানি কমতে শুরু করে।
আজ সোমবার শহরে বন্যা কবলিত এলাকাগুলো পানি শুকিয়ে গেছে। শুকিয়ে যাওয়া এলাকায় কাদা ভরে যায়। বন্যার পানি কমে গেলেও সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। বান্দরবান-চট্রগ্রাম সড়কের সাতকানিয়া বাজালিয়া এলাকা প্রায় আধা কিলোমিটার সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় এখনো পুরোপুরি শুকিয়ে না যাওয়ায় কারনে সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়নি। রুমা সড়কে ১২ মাইলের পরে রাস্তা ধ্বসে যাওয়ায় যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। রোয়াংছড়ি, রাঙ্গামাটি সড়কে বিভিন্ন জায়গায় পাহাড়ে মাটি ধ্বসে সড়কে এসে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। রাস্তা সাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত রাঙ্গামাটি, রুমা, রোয়াংছড়ি বাস চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে বলে ড্রাইভার সূত্রে যানা গেছে।
বান্দরবান সদর উপজেলা পিআইও আলমগীর জানান, বন্যা দুর্গতদের মাঝে ৩শটি ব্যাগ শুকনা খাবার পৌছে দিচ্ছি। প্রতিটি ব্যাগে ১০টি করে শুকনা খাবার উপকরন রয়েছে। আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হবে বলে বান্দরবান প্রতিদিনকে জানান।
উল্লেখ্য, ১৯৭৬ সালে ১৯শে জুন মাসে বান্দরবান শহর বন্যা প্লাবিত হয়। এর পর ১৯৯৭ সালে ২১শে জুন মাসে দ্বিতীয় বার বন্যা কবলে পড়ে। দীর্ঘ ২২ বছর পর ১৩ জুলাই ২০১৯ সালে বান্দরবানে বন্যা দেখা দেয়।
Leave a Reply