বৃহস্পতিবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
রিমন পালিত: স্টাফ রিপোর্টারঃ
বান্দরবান পার্বত্য জেলায় এক পুলিশ সদস্যসহ নতুন করে আরও ৩জনের করোনা আক্রান্ত রোগী সনাক্ত হওয়ার ঘটনায় বান্দরবানে আতঙ্ক বিরাজ করছে। আক্রান্ত দুই জন থানচি উপজেলায় ও একজন লামা উপজেলায়। এই ঘটনায় আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আশা থানছি ইউএনও, থানার ওসিসহ ৭ব্যক্তিকে কোয়ারেন্টিইনে পাঠানো হয়েছে । এছাড়াও বান্দরবান সদর হাসপাতালের একটি অংশ ও থানচি উপজেলার দুটি বাজার লকডাউন করে দেয়া হয়।
স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, থানচি সোনালী ব্যাংকের এক পুলিশ গার্ড ও একজন ঠিকাদার এবং লামায় এক নারী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে বান্দরবানে মোট ৪জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হলো। এদিকে থানছি উপজেলায় দুজন করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পর তাদের সংস্পর্শে আসায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকসহ মোট ৭জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। থানছি উপজেলার সদর ও বলিপাড়া বাজার লকডাউন করা হয়েছে। দুপুরের মধ্যে থানা ভবন ও ব্যাংক লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে ইউএনও আরিফুল হক জানিয়েছেন।
সূত্র জানায়, থানছির আক্রান্তরা চিকিৎসা নিতে আসলে তাদের প্রথম তিনদিন ধরে সাধারণ ওয়ার্ডে রাখা হয়। পরে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা জন্য চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। তাদের নমুনায় পজেটিভ আসে।
স্থানীয়দের সূত্রে , তিনদিন ধরে ঐ রোগী সাধারণ ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়ার সময় অন্যান্য রোগী,আত্মীয় স্বজনরা ঐ সময় হাসপাতালে যাতায়াত করেন। এসব লোক তিনদিন বিভিন্ন মানুষের সংস্পর্শে গিয়েছে। এখন কতজন আত্মীয়স্বজন ছিলেন ও তারা কোথায় কোথায় গেছেন এবং কাদের কাদের সাথে তারা মেলামেশা করেছেন। তাদের মাধ্যমে বান্দরবান শহরে করোনা আক্রান্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। থানচি থেকে আসা রোগীর শরীরে পজেটিব পাওয়ার পর আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বান্দরবানে পৌর শহরের বাসিন্দারা। বান্দরবান থেকে নমুনা পাঠানো রির্পোট দেরিতে আসায় এমন হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে।
এবিষয়ে বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা. অংশৈ প্রু মারমা জানিয়েছেন, কয়েকদিন আগে এসব ব্যক্তিদের রক্ত নমুনা চট্টগ্রামে পাঠানো হয়। মঙ্গলবার তাদের ফলাফল পজিটিভ আসে। বর্তমানে এদের মধ্যে দুজন হাসপাতাল কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। সিভিল সার্জন আরো জানান, সদর হাসপাতালে থানচিতে আক্রান্তদের মধ্যে একজন চিকিৎসা নেয়ায় হাসপাতালের একটি অংশ লক ডাউন করা হচ্ছে সেই সাথে যেসব চিকিৎসক ও নার্স রোগীর সংস্পর্শে ছিল তাদের কোয়ারেন্টিইনে নেয়া হচ্ছে। চট্টগ্রামে পরীক্ষার সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় ফলাফল আসতে দেরি হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
বান্দরবান জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, বান্দরবানে এ পর্যন্ত ১৯৫ জন হোম কেয়ারেন্টাইনে ও ১০জন প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন। এর আগে সীমান্ত উপজেলার নাইক্ষ্যংছড়িতে একজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
Leave a Reply