শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
রাঙ্গামাটিতে দোলযাত্রা হোলি রঙের উৎসব পালিত বান্দরবানে উদযাপিত করল জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৩ বান্দরবান দলবনিয়া এলাকায় বন্যা দূর্গতদের মাঝে মোবাইল হেলথ ক্যাম্প ইউপিডিএফের ৪ নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে মানিকছড়িতে অবরোধ চলছে কলাবতী শাড়ি আগামীতে দেশের বাইরে রপ্তানিতে ছেয়ে যাবে – শাহ্ মোজাহিদ রোয়াংছড়ি তুলাছড়ি পাড়ায় প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে পিআইসি’র কমিউনিটি চার্টার বিষয়ক মতবিনিময় বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
কোরবানীর শেষ দিনে ব্যস্ত সময় পার করছে বান্দরবানের কামাররা

কোরবানীর শেষ দিনে ব্যস্ত সময় পার করছে বান্দরবানের কামাররা

রিমন পালিত; ষ্টাফ রির্পোটারঃ

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে এখন ঢং-ঢং শব্দে মুখরিত পুরো বান্দরবানের কামার দোকানগুলো। কামার পরিবার যেন এ সময়টার জন্য দিন গুনছিল। কাল কোরবানির ঈদ, তাই শেষ মুর্হূতের ব্যস্ততায় দিন পার করছেন বান্দরবানের কামাররা।

বান্দরবান শহরে এখন প্রায় প্রতিটি কামারের দোকানের হাপরের শোঁ শোঁ শব্দ আর হাতুড়ির ঢং-ঢং আওয়াজে মুখরিত,এই সময়ে কামারদের কদর ও অনেক বেশি,আর কাজের ও নেই কমতি। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানির ঈদের আগে তাদের প্রচুর কাজ করতে হয়। বছরের এ সময় পশু জবাই ও মাংস কাটার অস্ত্র তৈরির তাই ধুম ও পড়ে যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কামার সম্প্রদায়ের কারিগররা কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান দোকান বসিয়ে কাজ করছে। তারা এখন খুবই ব্যস্ত আসন্ন ঈদের কোরবানীর পশু কাটার তৈজসপত্র তৈরিতে। দিনরাত যেন এক এখন তাদের কাছে ।

এ শিল্পের সাথে জড়িত কামার সম্প্রদায়ের কারিগররা লোহার তৈরি নিত্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র তৈরির মাধ্যমে পৈত্রিক পেশা আকড়ে ধরে থাকলেও তৈজসপত্র তৈরিতে ব্যবহৃত লোহা, কয়লা ও ফাইলের উচ্চমূল্যের কারণে লাভ কম হওয়ায় এবং স্টীল আর মেলামাইনের সাথে প্রতিযোগীতায় টিকতে না পেরে অনেকে বাধ্য হয়েছেন পেশা পরিবর্তনে।

বান্দরবান বাজারের কামার শিল্পী রাজু কর্মকার জানান, আমাদের কাছে এসে মাঝে মাঝে ছবি উঠায় ও ভিডিও করে, পেপার-পত্রিকাতে লেখালেখি ও টেলিভিশনে দেখানো ছাড়া আর কিছুই হয়না। সরকারের পক্ষ থেকে বা স্থানীয় প্রতিনিধিদের পক্ষ থেকে আমাদের জন্য কোন উদ্যোগ নেয়া হয়না।

স্থানীয় কামার শিল্পী রাহুল বিশ্বাস জানান জানান, সারা বছর যে রকম মূল্যে তারা দা-বটি বিক্রি করছেন। ঈদকে সামনে রেখেও একই মূল্যে তারা বিক্রি করছেন। তবে অন্য সময়ের চেয়ে বেশি অর্ডার ও বিক্রি হচ্ছে।

মূল্য জানতে চাইলে জানান, প্রতিটি দা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩শ’ টাকা, হাসুয়া ২০০টাকা, ছোট ছুরি ৮০টাকা, বটি ২৫০শ’ টাকা, চাপাতি ২৫০-৩০০ টাকা।

যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে শাণ দেন তারা জানান, অবস্থা মোটামুটি ভাল। তাদের কমবেশি সারা বছরই কাজ থাকে। কারণ মহিলাদের তো সারা বছরই হাসুয়া, দা- ছুরি দিয়ে কাজ করতে হয়। তিনি আরও জানান, শান দেয়ার জন্য কাজের গুণাগুণের ভিত্তি করে ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হচ্ছে।

রশিদ আহম্মেদ নামের এক ক্রেতা জানান, কাল কোরবানীর ঈদ তাই পশু জবাইয়ের সরঞ্জাম কিনেছি । তবে অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার ছুরি, চাকু, চাপাতির দাম একটু বেশি ।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology