বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন
অংগ্য মারমা, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ি জেলা শহরের মেহেদীবাগ এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে বাড়ির উঠানে ফেলে নির্মমভাবে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে বুধবার দুপুরে পাষ- স্বামীকে আটক করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানায়, দ্বিতীয় চেঙ্গী ব্রীজ এলাকার ফয়েজ মাঝির ছেলে অটোরিক্সা চালক মাসুদ প্রায় সময় তার স্ত্রীকে মারধর করে। বুধবার সকালেও মারধর করার সময় স্ত্রী রোকেয়া আক্তারের চিৎকার শুনতে পায়। কিন্তু মাসুদের দুর্ব্যবহারের ভয়ে কেউ রোকেয়াকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি।
ভিকটিম রোকেয়া আক্তার বলেন, প্রায় সময় তাকে মারধর করার ঘটনাটি সত্য। কিন্তু সে স্বামীর সংসারেই থাকবে। কারণ, দুইটি বাচ্চা নিয়ে তার যাওয়ার কোন জায়গা নেই। পাঁচ বছর আগে পারিবারিক সম্মতিতে নোয়াখালীর জামালপুর গ্রামের মৃত সালেহ আহম্মদ মেয়ের সাথে বিয়ে হয় মাসুদের। বিয়ের পর থেকে প্রায় তুচ্ছ ঘটনায় তাকে মারধর করে। তার বাবা না থাকায় স্বামীর সংসার ছেড়ে কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই তার।
খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, এক নারীর ওপর বর্বর এক হামলার ভিডিও ফেসবুকে দেখার পর স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে পাষ- মাসুদকে আটক করা হয়েছে।
স্ত্রীর আকুতিতে অবশেষে ছাড়া পেল পাষ- স্বামী মাসুদ। বুধবার সকালে বাড়ির উঠানে ফেলে স্ত্রী রোকেয়া আক্তারকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তায় পাষ- স্বামীকে আটক করে পুলিশ।
নির্যাতিতা স্ত্রী রোকেয়া আক্তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ না করে আকুতি মিনতি করে তাকে (স্বামী) নিজ জিম্মায় পুলিশের কাছ থেকে মুক্ত করে নিয়ে যায়। বুধবার রাতে খাগড়াছড়ি সদর থানায় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে রোকেয়াকে আর নির্যাতন না করার শর্তে মাসুদ ও তার বাবা মো: ফয়েজ যৌথ অঙ্গীকার দেন।
খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইন-চার্জ(ওসি) সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, নির্যাতিতা গৃহবধূর আকুতিতে পাষ- স্বামীকে ছেড়ে দিতে হয়েছে।
Leave a Reply