বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৯:৩০ অপরাহ্ন
অংগ্য মারমা; খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে খাগড়াছড়ি জেলার ১২টি কলেজে ৭ হাজার ২শ ৩০ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে মাত্র ২ হাজার ৬শ ৪৭ জন উত্তীর্ন হয়েছে। অনুত্তীর্ন পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার ৫’শ ৮৩ জন। জেলায় গড় পাশের হার ৩৬.৬১।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, খাগড়াছড়ির ৯টি উপজেলায় মোট পরীক্ষার্থী ৭ হাজার ৪৪৩ জন। এরমধ্যে ৩ হাজার ৯৭০ জন ছেলে ও ৩ হাজার ৪৭৩ জন মেয়ে। পাস করেছে ২ হাজার ৬৮৬ জন। পাসের হার ৩৬ দশমিক ৫১ শতাংশ। এবার অনুপস্থিত ছিল ৮৭ জন। জিপিএ-৫ এসেছে ৮টি। এরমধ্যে ৬টি বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এবং দু’টি মানবিক বিভাগ থেকে।
তিনটি বিভাগের মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ৯৯৪ জন। পাস করেছে ৪৫৮ জন। এরমধ্যে ২৫৪ জন ছেলে এবং ২০৪ জন মেয়ে। অনুপস্থিত ছিল ৬ জন। এ বিভাগে পাসের হার ৪৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ এসেছে ৬টি।
মানবিক বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ৪ হাজার ৪৬৩ জন। পাস করেছে ১ হাজার ৩২৬ জন। এরমধ্যে ৫০৮ জন ছেলে এবং ৮০৮ জন মেয়ে। অনুপস্থিত ৬০ জন। পাসের হার ৩০ দশমিক ১২ শতাংশ। এ বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ এসেছে দু’টি।
ব্যবসা শিক্ষা বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৯৮৬ জন। এরমধ্যে ১ হাজার ১৬২ জন ছেলে এবং ৮২৪ জন মেয়ে। পাস করেছে ৯০২ জন। এরমধ্যে ৪৬৭ জন ছেলে এবং ৪৩৫ জন মেয়ে। পাসের হার ৪৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।
এবারে জেলায় সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছে খাগড়াছড়ি ক্যান্ট: পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ। এই প্রতিষ্ঠান থেকে তিন বিভাগ মিলে ৯২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮৫ জন উত্তীর্ন ছাড়াও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে একজন গোল্ডেন জিপিএ এবং দুইজন জিপিএ পেয়েছে।
আর সবচেয়ে খারাপ ফলাফল করেছে পানছড়ি ডিগ্রী কলেজ। এই প্রতিষ্ঠানের তিন বিভাগের ৭ শ ২৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে পাশ করেছে মাত্র ১শ ৮ জন। তবে প্রথমবারের মতো পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জেলায় তাক লাগিয়েছে গুইমারা কলেজ। এই কলেজ থেকে তিন বিভাগের ১’শ ৬ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮২ জন পাশ করেছে।
এছাড়া খাগড়াছড়ি সরকারি মহিলা কলেজের মোট পরীক্ষার্থীর ৫৪.১২ শতাংশ, রামগড় সরকারি কলেজে ৪৭.৮০ শতাংশ এবং খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ ৪৭.৪৮ শতাংশ পাশের হার নিয়ে জেলায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। তবে এই কলেজের বিজ্ঞান শাখা থেকে জিপিএ পেয়েছে একজন পরীক্ষার্থী।
জেলায় এবার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক পরীক্ষার্থী ছিল দীঘিনালা ডিগ্রী কলেজে। কিন্তু ১ হাজার ৩শ ৮৭ জন পরীক্ষার্থীর বিপরীতে এই কলেজ থেকে পাশ করেছে মাত্র ৪শ ৯৭ জন।
Leave a Reply