রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০২:০৬ অপরাহ্ন
অংগ্য মারমা, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি জেলা মানিকছড়ি উপজেলা যোগ্যাছোলা ইউনিয়নে বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার সানি মারমা মাশরুম চাষে সফল হয়েছে।
হাটারজারী মো: শাহ জালাল মাশরুম সেন্টার অনুপ্রেরণায় ছোট আকারে বাড়ি আািঙনায় এসপিএম মাশরুম এন্ড এগ্রো ফার্ম নামে ২০১৬ সালের মাশরুম চাষ প্রাথমিক ভাবে যাত্রা শুরু করেন।
প্রথমে মাশরুম চাষে তেমন কোন সফল করতে পারিনি। পরে তিনি বাংলাদেশ মাশরুম উন্নয়ন ইনষ্টিটিউট সাভার থেকে প্রশিক্ষণ পেয়ে বানিজ্যিক ভাবে মাশরুম চাষে মুখ দেখেন। বর্তমানে তার ফার্মে উৎপাদন ভাল হওয়া আর্থিকভাবে স্বাবলম্ভী। দৈনিক ৪০-৫০ কেজি উৎপাদন হয়। প্রতি মাসের ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা আয় হয়।
তার ফার্ম উৎপাদিত মাশরুম গুলো স্থানীয় বাজারে চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য গুইরামা, রামগড়, মহালছড়ি, ফটিকছড়ি এবং হেঁয়াকো, হাটাহাজারী বাজারসহ চট্রগ্রামে সরবরাহ করা হয়। মাশরুম গুলো স্থানীয় পাহাড়িদের বেশ জনপ্রিয় একটি খাবার। পাহাড়িদের পাশাপাশি বাঙ্গালিদের জনপ্রিয় খাবার হিসেবে পরিচিত মাশরুম।
স্থানীয় পাহাড়ি মারমা, ত্রিপুরা, চাকমা সম্প্রদায়রা মাশরুমকে আপ্রেং (সিদ্ধ) করে খেতে বেশি পছন্দ করেন।
এই মাশরুমগুলো চিংড়ি মাছ সাথে মিশিয়ে রান্না করেন পাহাড়ি সম্প্রদায়রা। পার্বত্য অঞ্চলে মারমা সম্প্রদায়ে বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মাশরুম খাবার আপ্রেং (সিদ্ধ) বেশ জনপ্রিয়। খাগড়াছড়িতে ছোট বড় বিভিন্ন ধরনের খাবার রেষ্টুরেন্টে রয়েছে, এসব রেষ্টুরেন্টে এর মাশরুম খাবার চাহিদা খুবই বেশী।
তার এসপিএম মাশরুম এগ্রো ফার্ম ০৪ (চার) জন বেকার যুবকে কর্মসংস্থান হয়েছে। কর্মচারী ০৪ (চার) জন পিছনে প্রতি মাসে ৪০,০০০/- (চল্লিশ হাজার) টাকা খরচ হয়।
উপরে অংশে মাশরুমে বিভিন্ন ধরনের উপকরণ ধানের খড়, ভূসি, পলি ব্যাগ সাজানো আছে। তিনি মাশরুম চাষ পাশাপাশি ২০২১ সাল থেকে মাশরুম বীজ উৎপাদন করেন। বীজগুলো হলো ওয়েষ্টার জাত, চঙ১০, চঙ২, ডঝ,ঙঝ, ০ই,ঐক, মিলকি হোয়াইট জাতের বীজ তৈরী করেন নিজে। এই বীজ গুলো দিয়ে নিজের মাশরুম উৎপাদন পাশাপাশি বীজগুলো খুচরা বিক্রি করেন।
যোগ্যাছোলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবসর প্রাপ্ত মংহলাপ্রু মহাজন ও অংক্রা চৌধুরাণী পরিবারে ৭ ছেলেমেয়ে মধ্যে সানি মারমা তৃতীয় ছেলে। ২০১১ সালের ফেনী পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট থেকে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন পাওয়ার বিষয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন।
তিনি ইজিনিয়ারিং পাশ করা পর সরকারি চাকরী জন্য বিভিন্ন দপ্তরে পরীক্ষার দেন। পরীক্ষার পাশ করলেও চাকরী বাজারে বিভিন্ন সমস্যা কারনে সরকারী চাকরী কপালে জোটেনি। পরে নিজ এলাকায় সেমুতাং গ্যাস ক্ষেত্র (বাপেক্স) অধীনে প্লান্ট অপারেটর চাকরী পান। তিনি চাকরী পাশাপাশি মাশরুম চাষ বানিজ্যিক পরিচালনা করেন ।
সানি মারমা বলেন মাশরুম চাষ করতে তেমন বড় পুঁজি দরকার হয়না। স্বল্প পুঁজিতে মাশরুম চাষ করা সম্ভব।
দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নিবার্হী সুইচিংপ্রreচাকরী পিছনে না ছুটে নিজের পায়ে দাঁড়ানো জন্য উদ্যোক্তা হওয়া দরকার। মানিকছড়ি উপজেলা সমবায় কর্মকতা আইউবুর রহমান বলেন মাশরুম চাষ করতে স্বপ্ল পুঁজিতে করা সম্ভব এবং পাহাড়ে মাশরুম চাহিদা খুব বেশী । এই পাহাড়ের মাশরুম চাষ প্রসারে খাগড়াছড়ি জেলা সমবায় কার্যলয় মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ প্রশিক্ষণ কোর্স প্রদান করছে।
Leave a Reply