বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:২৯ পূর্বাহ্ন
অংগ্য মারমা,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ
পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান সাংবাদিকদের প্রেস ব্রিফিং করে এ তথ্য জানিছে দ্রুত সময়ে গৃহবধূ সালমা আক্তার(২০) হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ । মাত্র ৯ দিনে মাথা খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হওয়ায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে পুরস্কৃত করেছে পুলিশ প্রশাসন।
মানিকছড়ি থানার এসআই আব্দুল্লাহ আল মাসুদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, প্রাথমিক তদন্তে স্বামী বেলাল হোসেন (২৬) নিজের স্ত্রী সালমা আক্তারকে হত্যার পর নিজে আহত হয়ে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা চালায় এবং বেলাল হোসনের বাবা মমতাজ হোসেন ও মা শিরিন বেগম হত্যাকান্ডে প্ররোচনা ও তথ্য গোপনের চেষ্টার অভিযোগে তাদের বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে গ্রেফতার করা হয়।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বুধবার (১ আগস্ট) ভোরে মানিকছড়ির তিনটহরী মধ্যম পাড়ায় বেলালের বাসায় চিৎকার শুনতে পেয়ে প্রতিবেশীরা সেখানে ছুটে যায়। তারা সেখানে গিয়ে দেখেন যে বেলাল হোসেন এবং তার স্ত্রী সালমা আক্তার(২২) রক্তাক্তাবস্থায় উঠানে পড়ে ছটফট করছে। পরে তারা আহত দু’জনকে উদ্ধার করে মানিকছড়ি হাসপাতালে নিয়ে এলে সালমা আক্তার(২২) মৃত ঘোষনা করেন চিকিৎসক । অপর দিকে আহত বেলাল হোসেনকে চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল্লাহ আল মাসুদ জানান, অপরাধ বিজ্ঞানের পদ্ধতি অনুসরণ করে এ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হয়েছে। প্রথমে সে ধারণা থেকে ৯ আগস্ট বেলাল হোসেন হাসপাতাল থেকে অবমুক্ত হওয়ার পর পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে স্বীকার করে এবং শুক্রবার (১০ আগস্ট) অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোকেয়া আক্তারের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
শনিবার দুপুরে খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান সাংবাদিকদের এক প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে বেলাল হোসেন ঐদিন রাতে স্ত্রী সালমা আক্তারকে ঘুমন্ত অবস্থায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। স্ত্রী টের পেয়ে পালাতে চেষ্টা করলে এলোপাথারি আঘাত করা হয়। সামলা আক্তারকে হত্যার পর তার শ্বশুর মমতাজ হোসেন(৬০) ও শাশুড়ী শিরিন বেগমকে(৫০) হত্যাকান্ডের আলামত নষ্টের চেষ্টার অভিযোগে তাদেরও গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
এদিকে অতি অল্প সময়ে সালমা আক্তার হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন করতে সক্ষম হওয়ায় সহকারী পুলিশ সুপার(মানিকছড়ি সার্কেল) আব্দুল আউয়াল চৌধুরী ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে শনিবার পুরস্কৃত করেছেন খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আলী আহমদ খান।
Leave a Reply