শুক্রবার, ০৯ Jun ২০২৩, ০১:৪২ অপরাহ্ন
আবদুর রশিদ নাইক্ষ্যংছড়ি,
রামু উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়নের ৭ নং পোয়াংগেরখিল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুকান্ত বাবুল নাথ এর বিরুদ্ধে অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা শ্রেশী কার্যক্রমে চরম অবহেলার অভিযোগ এনে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক বরাবর গন স্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগ দিয়েছেন অভিভাবক বৃন্দরা।
অভিযোগে জানা যায় প্রধান শিক্ষক ক্লাস নিতে বললে তিনি না নিয়ে বসে থাকেন। শ্রেনী কক্ষে গিয়ে মোবাইল ফোনে আলাপ। শিক্ষার্থীরা ক্লাস নিতে বললে উল্টো হুমকি সহ মারধরের চেষ্টা চালায় তাদের।
ক্লাস টাইম শেষ হয়ে গেলে এ পর্যন্ত শিখে এসো বলে তিনি শ্রেনী কক্ষ ত্যাগ করেন। পাশাপাশি অন্যান্য শিক্ষকদের ও ক্লাস না নেওয়ার পরামর্শ দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয় তিনি শিক্ষকতা না করে উখিয়া উপজেলার পালং খালীতে ফার্মেসি ব্যবসা ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চাকুরী করে। তাছাড়া গর্জনিয়া বাজারে ও একটি ফার্মেসীতে পল্লী চিকিৎসক হিসেবে চেম্নার করেন।
আগামী পিএস সি পরীক্ষা নিয়ে অভিভাবকেরা এখন উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি আরো অনেক অভিযোগ স্বারক লিপিতে উল্লেখ করা হয়েছ।
গর্জনিয়া পোয়াংগেরখিল প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ঐতিহাসিক একটি বিদ্যালয়।
ব্রিটিশ আমলে স্থাপন হওয়া বিদ্যালয়টি এলাকার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের উজ্জ্বল নক্ষত্র। যার প্রমান এলাকার শিক্ষিত সমাজ। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রা বর্তমানে সারা দেশে ছড়িয়ে আছে।
এবিষয়ে বিদ্যালয়টির সভাপতি হাফিজুল ইসলাম চোৌধুরী বলেন উক্ত শিক্ষক কারো কথা কর্নপাত করেনা। তাই তিনি ও উদ্বিগ্ন। তিনি আরো বলেন বিষয়টি লিখিত আকারে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট অভিযোগ দিবেন।
এবিষয়ে রামু উপজেলা শিক্ষা অফিসার গৌর চন্দ্র সেন এর নিকট মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে রিসিভ না করায় কোন ধরনের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নাই।
বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষকের নিকট মুঠো ফোনে জানতে চাইলে তিনি সরেজমিনে এসে যাচাই করে দেখার কথা বলেন। তাছাড়া তিনি আরো বলেন আমি একজন সহকারী শিক্ষক আমি বড় কিছু নয়। আমার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ মোটেও সত্য নয়। স্কুল টাইমে কোন ধরনের ব্যবসা আমি করিনা। স্কুল শেষে আমি আমার স্বাধীন ভাবে যে কোন কাজ করতে পারি। সাংবাদিকেরা যদি উল্টা পাল্টা লিখে আমি তাদের কে ও ছাড়বনা।
তিনি আরো বলেন সংবাদ প্রকাশ না করে সরেজমিনে আসুন।
Leave a Reply