শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন খাগড়াছড়ি মানিকছড়িতে মাশরুম চাষে সফল ইঞ্জিনিয়ার সানি মারমা বান্দরবান রাজার মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আওয়ামীলীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন: সভাপতি মংপু ও সাঃ সম্পাদক নাছির পাহাড়ে কি নাম ধরে তারা আসছে সেটা আমাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাঙ্গামাটি শহরে হঠাৎ দেখা মিলল ‘দাগি-বসন্ত’ পাখি বান্দরবান রাজার মাঠ সংলগ্ন পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
জীবন-মৃত্যুর শংকায় দিনাতিপাত করছে শাহ আলম

জীবন-মৃত্যুর শংকায় দিনাতিপাত করছে শাহ আলম

মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি লামাঃ
পৈত্রিক সম্পদের বিরোধের জের ধরে নিকট আত্মীয়দের হুমকির মুখে জীবন-মৃত্যু শংকা নিয়ে দিনাতিপাত করছে লামার মো. শাহ আলম (৪১)। সে উপজেলার রুপসীপাড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড ইব্রাহিম লিডার পাড়ার মৃত নজির আহাম্মদের ছেলে।

শাহ আলম বলেন, আমার পিতা মৃত নজির আহাম্মদ মৃত্যুকালীন সময়ে বেশ কিছু জমি ও সম্পদ আমাদের জন্য রেখে গেছেন। আমাদের দুই মা সহ মোট ১৬জন ওয়ারিশ আমরা উক্ত সম্পদের অংশীদার। ২০০৬ সালে সাংসারিকভাবে ভূমি নিয়ে চরম বিরোধ এবং কয়েকটি মামলার সৃষ্টি হলে প্রশাসন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সম্পদের সমবন্টন করা হয়। বন্টনের ফলে আর ২৮৪ হোল্ডিং বর্তমানে ২০৭ খতিয়ানের ১০ একর ৪৫ শতক জমির অংশ হতে আমি ৬৮ শতক চাষী জমির মালিক হই। এছাড়া ২০৭নং একই খতিয়ানের ৩০৭ দাগে আমার বোন মোস্তফা খাতুনের নামীয় অংশ হতে আরো ২০ শতক জমি ক্রয়সূত্রে মালিক হই। ইতিমধ্যে আমি আমার অংশ হতে ৫৯শতক জমি বিক্রয় করি। বর্তমানে উক্ত খতিয়ানে আমার নামে ২৯ শতক জমির রয়েছে। কাগজপত্রে মতে আমি আমার অংশের জমি দখলে গেলে আমার অন্যান্য ভাই, ভাতিজা ও মসজিদ কমিটির লোকজন তাতে বাধা দিচ্ছে।

সর্বশেষ তারা আইনে না পেরে আমার নামীয় ৩০৭ দাগের জমিটি ইব্রাহিম লিডার পাড়া মসজিদের বলে আমার কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে পায়তারা করছে। মসজিদের নামে কাগজে-পত্রে কোন রেকর্ড নেই। লোক মুখে শুনেছি আমার বাবা নজির আহাম্মদ জীবদ্দশায় মসজিদের নামে ৪০ শতক জায়গা দান করে গেছেন। কিন্তু মসজিদ কমিটি মুখে মুখে দানের কথা বললেও কোন কাগজপত্র আমাকে দেখাতে পারেনি। তারপরেও পিতা দানের বিষয়টি আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু ২০০৬ সালে ভূমি বন্টনের সময় ১০ একর ৪৫ শতক জায়গা হতে মসজিদের ৪০ শতক জমি বাদ না দিয়ে সম্পূর্ণ জায়গা ওয়ারিশদের মধ্য বন্টন করা হয়। যেহেতু সম্পদের সমবন্টন হয়েছে তাই মসজিদ জায়গা পেলে সব ওয়ারিশ হতে পাবে। কিন্তু আমার বাবার অন্যান্য ওয়ারিশরা তাদের অংশ হতে মসজিদকে জায়গা না দিয়ে শুধু আমার অংশ হতে মসজিদকে জায়গা দেয়ার কথা বলছে। যা আমার প্রতি জলুম করার শামীল। এককভাবে আমি জায়গা দেবনা বলায় তারা সবাই মিলে দফায় দফায় আমার উপর হামলা, মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে। আমি জীবন-মৃত্যুর শংকায় রয়েছি।

অপরদিকে ৯৩ ও ৩ নং খতিয়ানে ভুলবশত অংশীদার হিসেবে আমার নাম বাদ পড়ে। ২০০৮ সালে লামা পৌর মিমাংসা বোর্ড উক্ত খতিয়ানে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত দিলেও তারা এখনো করেনি। এছাড়া পৈত্রিক আরো কিছু পাহাড়ি জমির অংশ হতে তারা আমকে বঞ্চিত করতে চাচ্ছে। উক্ত বিষয়ে বান্দরবান জর্জ কোর্ট আমার পক্ষে রায় দিয়েছে। পৈত্রিক সম্পদের ন্যায্য অধিকার চাওয়ায় আজ আমি সকলের কাছে শত্রু হয়েছি এবং তারা আমার জানমালের ক্ষতি করতে চাচ্ছে।

শাহ আলমের বড় ভাই মাহাবুবল আলম ও সফিউল আলম বলেন, মসজিদের অংশ না রেখে সম্পূর্ণ জায়গা ভাগ করা হয়েছে। তবে শাহ আলমের দাবী করা জায়গাটি দীর্ঘদিন মসজিদের ভোগদখলে রয়েছে।

ইব্রাহিম লিডার পাড়া মসজিদের সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, বিরোধীয় জায়গাটি মসজিদকে শাহ আলমের বাবা মৃত নজির আহাম্মদ দান করেছে। কিন্তু দানের কাগজ দেখাতে বললে তিনি সময় নিয়েও দানপত্র কাগজটি প্রতিবেদককে দেখাতে পারেননি।
এই বিষয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ছাচিংপ্রু মার্মা বলেন, আমি এই মুহুর্তে শারীরিকভাবে অসুস্থ। সুস্থ হলে সবাইকে ডেকে বিরোধটি মিমাংসা করতে উদ্যোগ নেব।

শাহ আলমের শংকা নিয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ অপ্পেলা রাজু নাহা বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা তার নিরাপত্তার স্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology