বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক,
কোটা সংস্কার আন্দোলনের তিন নেতাকে চোখ বেঁধে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তাকে ভিত্তিহীন বলেছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একজন শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা।
সোমবার আন্দোলনকারী সংগঠন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর তিন যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক, রাশেদ খাঁন এবং ফারুক হাসানকে মাইক্রোবাসে করে তুলে নেয়া নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনাটি প্রকাশ হওয়ার পর ছাত্রদের মধ্যে যখন ক্ষোভ ছড়িয়ে আবার জড়ো হওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়, তখনই জানা যায়, তিন জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে নুরুল হক জানান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়ার পর গুলিস্তানে গিয়ে তাদের চোখ বেঁধে ফেলা হয়। এরপর তাদের নেয়া হয় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা কার্যালয়ে।
মঙ্গলবার মিন্টু রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।
আন্দোলনকারী সংগঠন ‘সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’-এর তিন নেতার অভিযোগের জবাব দেন এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা। বলেন, ‘চোখ বাঁধা হয়নি, ভুল বোঝাবুঝি ছিল। তাদের বিরুদ্ধে সরাসরি কোনও অভিযোগ নেই।’
এই তিন নেতার বিরুদ্ধে শিবির সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছিল একটি জাতীয় দৈনিকে। পরে পত্রিকাটি বর্জনে আন্দোলনকারীদের হুমকির মুখে সে প্রতিবেদন প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।
বাতেন জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা নিয়ে তদন্তের জন্যই তিন জনকে নিয়ে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এর সঙ্গে অন্য কোনো কারণ নেই।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে এক ছাত্রের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে গভীর রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনে হামলা হয়। এই ঘটনাটি তদন্ত করছে ডিবি।
গোয়েন্দ কর্মকর্তা বলেন, ‘একাধিক শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন সময়ে ডিবি কার্যালয়ে ডাকা হচ্ছে। যেহেতু হামলাকারীদের সরাসরি চিনি না, তাদের চেনার সহযোগিতার জন্য একাধিকবার ছাত্রদের এখানে ডেকে আনা হয়েছে।’
‘তদন্তের যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। হামলা ও মামলা তদন্তে সহায়তার জন্য তাদের ডাকা হয়েছিল। কিন্তু এ নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হয়েছে।’
সোমবার এই মামলা প্রত্যাহারের দাবি তুলেছিলেন কোটা আন্দোলনের তিন নেতা। তবে এই দাবির সঙ্গে তাদেরকে নিয়ে আসার কোনো সম্পর্ক ছিল না বলে জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তা বাতেন।
তবে তিন ছাত্রকে যেভাবে তুলে আনা হয়েছে সেটা আইনবিরুদ্ধ এবং হাইকোর্টের নির্দেশনারও বিরোধী। তবে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে কিছুই বলেননি আবদুল বাতেন।
Leave a Reply