শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:২৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বান্দরবানের থানচি উপজেলায় ফেরিওয়ালা নিখোঁজের দেড় মাস পর গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া উপজেলার পশ্চিম কলাউজানের মৃত গোলাম সোবাহানের ছেলে নাম মো. আইয়ুব আলী (৫৫)। সোমবার ( ৩ জুন) সাড়ে ১১ ঘটিকার সময় বান্দরবানের থানচি উপজেলার সদর ইউনিয়নের চমি পাড়ার কাছে লাইং ম্রো পাড়ায় পাহাড়ের ঢালুতে একটি জুম ঘরের পাশে তার লাশ পাওয়া যায়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, নিহত আইয়ুব আলী গত ১২ এপ্রিল তার নিজ বাড়ি পশ্চিম কলাউজান থেকে বান্দরবানের থানচি উপজেলায় কাজের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার পর থেকে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তার আত্নীয় স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানায় একটি ডায়েরী করেন। লোহাগাড়া থানা পুলিশ তার কল রেকর্ড লিষ্ঠ বের করলে তার সর্বশেষ লোকেশন থানচি এলাকার চমি পাড়ায় দেখা যায়। পরে গত (৩০ মে) নিখুজের আইয়ুব আলীর ভাই আক্কাস আলী থানচি থানায় এসে একটি অভিযোগ করলে থানচি থানায় আরো একটি জিডি হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে থানচি বাজার হতে সদর ইউনিয়নের চমি পাড়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চাই অং পা ম্রো (৩০) ও তাইরু ম্রো(২৪)কে সন্দেহ জনক ভাবে থানায় নিয়ে এসে জিঙ্গাসাবাদ করলে তারা ফেরিওয়ালাকে খুনের কথা স্বীকার করে বলেন সদর ইউনিয়নের নিলট পাড়ার রাস্তার মধ্য ফেরিওয়ালা কে অপহরণের পর তার কাছ থেকে নগদ ত্রিশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে তার ঘাড়ে ধারালো দা দিয়ে আঘাত করে তাকে খুন করে তারা।
থানচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জুবায়েরুল হক বান্দরবান প্রতিদিনকে বলেন, থানচি উপজেলায় সদর ইউনিয়নে চমি পাড়া এলাকায় মোঃ আইয়ুবের (৫৫) গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত (৩০ মে) নিহত আইয়ুব আলীর ভাই আক্কাস আলী থানচি থানায় এসে একটি অভিযোগ করলে থানচি বাজার হতে সদর ইউনিয়নের চমি পাড়া ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চাই অং পা ম্রো(৩০) ও তাইরু ম্রো(২৪) কে সন্দেহ জনক ভাবে থানায় নিয়ে এসে জিঙ্গাসাবাদ করলে তারা মোঃ ফেরিওয়ালা আইয়ুব আলীকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তাদের দেওয়া তথ্যমতে নিহত ব্যাক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
Leave a Reply