রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:৩৮ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন খাগড়াছড়ি মানিকছড়িতে মাশরুম চাষে সফল ইঞ্জিনিয়ার সানি মারমা বান্দরবান রাজার মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আওয়ামীলীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন: সভাপতি মংপু ও সাঃ সম্পাদক নাছির পাহাড়ে কি নাম ধরে তারা আসছে সেটা আমাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাঙ্গামাটি শহরে হঠাৎ দেখা মিলল ‘দাগি-বসন্ত’ পাখি বান্দরবান রাজার মাঠ সংলগ্ন পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
থানচিতে মৎস্যচাষি শাহাজালাল ঋণের বোঝা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে

থানচিতে মৎস্যচাষি শাহাজালাল ঋণের বোঝা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে

র‌্যামবো ত্রিপুরা, থানচি প্রতিনিধিঃ

এ বছর ২০১৯ জুলাই মাসে ৬ হতে ১৫ তারিখ পর্যন্ত টানা ১০ দিন ভারী বর্ষনের ফলে আকষ্মিক বন্যা দেখা দিলে বান্দরবানে পাহাড় ধ্বস ও মছ চাষে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হন বুলিপাড়ার মৎস্য চাষি শাহাজালালের মৎস খামার।
ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলোকে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে তাৎক্ষনিক অর্থনৈতিক ভাবে সাহায্য সহযোগিতা প্রদান করলেও প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো অনেকেরই সাহায্য প্রদানের তালিকায় নাম অর্ন্তভূত না হওয়ায় সরকারী ও বেসরকারী কোন সহযোগিতার পাননি বলে অভিযোগ উঠেছে। এদের মধ্যে বান্দরবানের সদর পৌরসভা বাসিন্দা মহরুম আমির হোসেনের ছেলে মো: আবুল হোসেন(৬০) অন্যতম।

জানা যায়, তিনি বান্দরবান জেলা মৎস্য চাষী সমবায় সমিতি কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি। তিনি থানচি উপজেলা বলিপাড়া ইউনিয়নের ডাকছৈ পাড়া ব্রীজ মাথা নিহ্লাঅং মারমা ঝিড়ি বাঁধটি ১০ বছরের জন্য চুক্তিতে ভাড়া নেন ’শাহাজালাল মৎস্য খামার’ নামে মৎস্য চাষ করে আসছিলেন। বিগত ৪/৫ বছর যাবৎ এই মৎস্য খামার হতে থানচি থেকে শুরু করে বান্দরবান জেলা সদর পর্যন্ত সাধারণ মানুষের কাছে মাছের চাহিদা পূরণ করে আসছে। কিন্তু অত্যন্ত দু:খের বিষয় এবছর জুলাই মাসের আকষ্মিক বন্যায় তার মৎস্য খামারটি বাঁধ ভেঙ্গে মাছ গুলো পানিতে বিলিন হয়ে যায়। প্রতি বছর মাছ চাষের জন্য ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন। এবারেও ঋণ নিয়েছিলেন, বাঁধ ভেঙ্গে মৎস খামার তলিয়ে যাওয়ার কারনে ঋণের বোঝা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সেই সাথে কোন অনুদানও তিনি পাচ্ছেন না।

আজ ২৬ ডিসেম্বর বৃহ:বার সকালে তার মৎস্য খামারের পার্শ্বে সহপাঠিদের সাথে জাল বুনার সময় তার এই দু:খের কাহিনী কথাগুলো ব্যাকুল কন্ঠে জানালেন এই প্রতিবেদককে। এসময় তার সাথে ছিলেন, সাধন জলদাস(৬০) ও সকুলাল জলদাস(৫৫)। এখন তিনি সর্বশান্ত হয়ে নি:স¦ হয়ে পড়েছেন বলে নিজেকে দাবী করেন, কি করে এত টাকা ব্যাংক ঋন পরিশোধ করবেন এই নিয়ে চিন্তিত বলেও জানালেন। তবে তিনি আবারও উঠে দাঁড়াতে সরকারী ও বেসরকারী সাহায্য দাতা সংস্থার কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology