রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৩ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বান্দরবান থানচি উপজেলায় গহীন অরণ্যে প্রাতাপাড়ায় একটি নতুন ইটভাটা স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে, যা প্রাকৃতিক পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সম্মুখীন হতে চলেছে। প্রাকৃতিক পরিবেশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় মানববন্ধন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রামের সামজিক সংগঠন ও সচেতন নাগরিকবৃন্দরা।
আজ রবিবার ৮ ডিসেম্বর সকাল ১০ ঘটিকার সময় বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সামনে “তাজিংডং রাক্ষা করি, পরিবেশকে বাঁচাই” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় হাতে প্লেকার্ড ও ব্যানার নিয়ে সামাজিক সংগঠন, সচেতন নাগরিকবৃন্দ ও সিএইচটি ইউথ হেডম্যান- কারবারী নেটওয়ার্ক এর নেতা কর্মীরা অংশ নেন।
মানববন্ধনে বলেন, একটি দেশে ২৫ শতাংশ বনভূমি দরকার, সেখানে বাংলাদেশে রয়েছে ১৭ শতাংশ যা দেশের জন্য খুবই উদ্বেগের বিষয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কপ-২৫ লির্ডাস সামিটে পরিবেশ সুরক্ষার সপক্ষে জোরালো বক্তব্য রেকে বলেছেন, “জলবায়ূ পরিবর্তনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ কাজের এটাই সময় এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিশে^র জন্র একটি কঠিন বাস্তবতা। এটি বর্তমানে মানবজীবন এবং পরিবেশ,প্রতিবেশ ও প্রাকৃতিক সম্পদের অপূরণীয় ক্ষতির কারণ হয়ে ওঠেছে”। অথচ দুর্গম এলাকায় পরিবেশের জন্য ক্ষতির আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও ইটভাটা স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে।
এ পাড়ায় মোট ২৩টি পরিবারের প্রায় ১১৮ জন মানুষের বসবাস। পারার পাশেই বাকত্লাই ও সিমপ্লাপিং নামক দুটি পাড়া রয়েছে। প্রাতা পাড়ার চারপাশে প্রাকৃতিক বন ও ঝিড়ি ঝর্না। এলাকাবাসীর সুপেয় পানির উৎস, দৈনন্দিন কাজ ও কৃষিকাজের জন্য একমাত্র পানির উৎস ঝিড়ি পাড়াটির পাশে রয়েছে। এই ঝিড়ির পাশেই নতুন ইটভাটার স্থাপনের জন্য প্রস্তুতি চলছে। এতে এই এলাকার শুধু প্রাকৃতিক পরিবেশ নয়, বনভ’মিসহ সামগ্রিক পরিবেশেও হুমকির মুখে পড়বে। শুধু তাই নয়, এর ফলে প্রতিবেশী পাড়াগুলোও পরিবেশ ও সামাজিক দূষণের কবলে পড়বে।
সম্প্রতি সময় খুবই উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি বান্দরবান পার্বত্য জেলায় ইটভাটার সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তেমনি বাড়ছে পাহাড় কাটা এবং ন্যাড়া কর হচ্ছে ইটভাটায় পোড়ানোর জন্য গাছ কাটা।
অবিলম্বে প্রাতা পাড়ার ইটভাটা স্থাপনের প্রক্রিয়া বন্ধ করতে হবে। এই অবৈধ ইটভাটা স্থপনের প্রক্রিয়ার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি ব্যবস্থা করতে হবে। বান্দরবানে যতগুলো লাইসেন্সবিহীন ইটভাটা আছে সেগুলো অনতিবিলম্বে বন্ধের ব্যবস্থা করতে হবে এবং পরবর্তীতে কেউ যেন পরিবেশ বিরোধী কাজ না করতে পারে, সেই বিষয়ে তীক্ষè নজরদারি করতে হবে বলে দাবি তুলে ধরেন।
Leave a Reply