শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন খাগড়াছড়ি মানিকছড়িতে মাশরুম চাষে সফল ইঞ্জিনিয়ার সানি মারমা বান্দরবান রাজার মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আওয়ামীলীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন: সভাপতি মংপু ও সাঃ সম্পাদক নাছির পাহাড়ে কি নাম ধরে তারা আসছে সেটা আমাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাঙ্গামাটি শহরে হঠাৎ দেখা মিলল ‘দাগি-বসন্ত’ পাখি বান্দরবান রাজার মাঠ সংলগ্ন পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
নতুন বাড়ি পেয়ে  স্বপ্ন পূরণ হয়েছে মহেশখালীর জাকিয়া বেগমের

নতুন বাড়ি পেয়ে  স্বপ্ন পূরণ হয়েছে মহেশখালীর জাকিয়া বেগমের

সরওয়ার কামাল.মহেশখালী প্রতিনিধিঃ

গ্রামমীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর,কাবিকা) কর্মসূচির বিশেষ বরাদ্দের অর্থ দিয়ে তৈরী গৃহহীন মানুষের জন্য দেয়া একটি নতুন বাড়ী পেয়ে স্বপ্ন পূরণ হয়েছে মহেশখালী উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের জাগিরাঘোনা গ্রামের স্বামীহারা জকিয়া বেগমের।

তিনি ২ কন্যা সন্তানের মা।বিগত ৫ বছর পূর্বে তাকে তালাক দেন তার স্বামী সফিউল ইসলাম। এর পর থেকে অভাব , অনঠনে মানুষের বাসায় কাজ করে তার সাংসার চালিয়ে কোন রকমে দুই কন্যা সন্তানকে পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে নিজের  মাথা গুজার ঠাই ছিলোনা একটুও । বাপের বাড়িতে থাকা যে ঘরে তিনি ছিলেন সেই ঘরটি ছনের খড় ও ঝরাজিন্ন বাশেঁর বেড়া দিয়ে কোন রকমের দিন যাপন করেছিল। একটি ঘরের কারনে তাদের বহু দিনের স্বপ্ন ছিলো অবশেষে সেই স্বপ্নের ঠিকানা খুঁজে দিলেন স্বানীয় সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক।  প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া একটি ঘরের মালিক জাকিয়া বেগম।

জানা গেছে, মহেশখালী উপজেলায় ১৭জন দরিদ্রদের মাঝে এই রকম দূর্যোগ সহনীয় বাড়ি প্রদান করা হয়েছে। ঘরের নামফলকে লেখা থাকবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান/টিআর-কাবিকা কর্মসূচির আওতায় দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

সুত্রেজানা গেছে ,আগামী পাঁচ বছরে টিআর ও কাবিকার বিশেষ বরাদ্দের তিন হাজার কোটি টাকা দিয়ে দরিদ্রদের এক লাখ ২৫ হাজার নতুন ঘর তৈরি করে দেবে সরকার। কোন কোন শর্তে ঘর দেয়া হবে সে জন্য একটি নির্দেশিকাও করেছে মন্ত্রণালয়। মহেশখালী উপজেলায় ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৭টি ঘর দেয়া হচ্ছে পর্যায়ক্রমে আরো দেয়া হবে প্রতিটি ইউনিয়নের হত দরিদ্রদের মাঝে। মহেশখালী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ৫০০ বর্গফুটের প্রতিটি ঘরে থাকবে দুটি কক্ষ, একটি করিডোর, একটি বাথরুম ও একটি রান্নাঘর। দুর্যোগ সহনীয় এসব ঘর হবে টেকসই এবং প্রতিটি ঘরেই থাকবে সোলার সিস্টেম আর বজ্রপাত নিরোধক ব্যবস্থা। প্রতিটি ঘর নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।

নতুন বাড়ি পাওয়া জাকিয়া বেগম জানান, জীবনে ও ভাবিনি আমি দালান কোঠার ঘর পাবো আমার মেয়েদের পড়ালেখা করার জন্য সুরক্ষিত একটি রুম পাবো। আজ প্রধানমন্ত্রীর কল্যাণে আমি আমার স্বপ্ন পুরণ করতে পেরেছি। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আমার এলাকার এমপি আশেক উল্লাহ রফিককে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

মহেশখালী কুতুবদিয়ার সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার মানে দরিদ্র মানুষের উন্নয়ন। দেশে কেউ গৃহহীন থাকবেনা, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ি প্রতিটি গৃহহীনকে মানুষকে খুঁজে বের করে তাদের বাস স্থানের ব্যবস্থা করা হবে। আমার উপজেলায় প্রথম দাপে ১৭টি এবং ২য় দাপে আরো ৩০টি ঘর দেয়া হবে।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology