শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:৫৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
রাঙ্গামাটিতে দোলযাত্রা হোলি রঙের উৎসব পালিত বান্দরবানে উদযাপিত করল জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৩ বান্দরবান দলবনিয়া এলাকায় বন্যা দূর্গতদের মাঝে মোবাইল হেলথ ক্যাম্প ইউপিডিএফের ৪ নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে মানিকছড়িতে অবরোধ চলছে কলাবতী শাড়ি আগামীতে দেশের বাইরে রপ্তানিতে ছেয়ে যাবে – শাহ্ মোজাহিদ রোয়াংছড়ি তুলাছড়ি পাড়ায় প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে পিআইসি’র কমিউনিটি চার্টার বিষয়ক মতবিনিময় বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
নদীকে বাঁচাতে হলে, পাথর উত্তোলন ও রির্জাভ গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে

নদীকে বাঁচাতে হলে, পাথর উত্তোলন ও রির্জাভ গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
পার্বত্য এলাকায় দিন দিন নদীর নাব্যতা কমে যাওয়ায় শুকনো মৌসুমে শঙ্খ নদীতে অসংখ্য বালুর চর দেখা দেয় এবং বর্ষা মৌসুমে একটু বৃষ্টি হলে বন্যা দেখা দেয়। এর একটি মাত্র কারণ অবৈধ ভাবে ঝিড়ি-ঝর্ণা থেকে পাথর উত্তোলন। শত বছরের পুরনো রির্জাভ বন ধ্বংস করার কারনে আজ এই অবস্থানে পৌঁছেছি। আমরা বা আপনারা যদি সচেতন না হয় তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মরা টিকে থাকা চ্যালেঞ্জের সম্মুক্ষীন হতে হবে। নদী বাঁচলে বাচবে দেশ, নদী বাঁচলে বাচবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম। দুই দিনের চলা পার্বত্য নদী রক্ষা সন্মেলনে এই কথাগুলো উঠে এসেছে।

২০ শে এপ্রিল শনিবার দুপুর ১২ ঘটিকার সময় হিলভিউ কনভেনশন হল রুমে ১৯-২০ এপ্রিল এই দুই দিন ব্যাপি পার্বত্য নদী রক্ষা সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এবং বাংলাদেশ নদী রক্ষা পরিব্রাজন দল যৌথ উদ্যোগে সন্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। সমাপনী দিনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানবৃন্দ, পৌর মেয়র ইসলাম বেবী, সদর উপজেলা ইউএনও নোমান চৌধুরী প্রমূখ।

নদী রক্ষা সন্মেলনে অতিথিরা বলেন, নদী মাতৃক দেশ আমাদের বাংলাদেশ। আমাদের অসচেতনতার কারনে এবং অসাধু কিছু অবৈধ ব্যবসায়ীদের কারনে পার্বত্য এলাকা প্রাকৃতিক পরিবেশ আজ ধ্বংসের মুখে। বিশ বছর আগে যদি ফিরে তাকায় তাহলে শঙ্খ নদী নাব্যতা প্রবাহমান। এখানকার জনগোষ্ঠিরা শঙ্খ নদীর পানি পান করতো। আর এখন এই শঙ্খ নদীর পানি খাওয়ার অনুপযোগি হয়ে উঠেছে। রুমা,আলীকদম, রোয়াংছড়ি, লামা ও থানচি এসব এলাকায় পাথর উত্তোলন ও রির্জাভে শত বছরের গাছ কাটা বন্ধ রাখতে হবে।

প্রধান অতিথি পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, ভাস্যমান পাথর, ছরা বা নদী থেকে যে ভাস্যমান পাথর কতটুকু পাথর আহরন করা যাবে, কত টুকু পারমিট দেয়া যেতে পারে এটা একটা নিয়ম আছে। এবং সেগুলোকে যাচাই বাছাই করতে প্রত্যেক উপজেলায় ইউ এনও রা সম্পৃক্ত আছে। অতিরিক্ত পাথর যদি তোলা হয়, তাহলে ইউ এনও কে জবাবদিহিতা করতে হবে। এই জবাবদিহিতা না থাকার কারনেই কিন্তু যতরকম ঝামেলা। পাথরতো হেলিকাপ্টারে নিয়ে যায় না। পাথরতো ট্রাকে নেয় , গাড়িতে নেয় । পাথরগুলো যাওয়ার পথে পুলিশের পাহারা, ফরেস্ট ডির্পামেন্টের পাহারা, সেনাবাহিনীর পাহারা, ইউনিয়ন পরিষদের পাহারা, জেলা পরিষদের পাহারা, উপজেলা টেক্সের পাহারা, পৌরসভার পাহারা এতগুলো পাহারা ভিতর দিয়ে পাথর যায় কিভাবে? যতগুলো চেক পোস্ট আছে তারা সবাই দায়ি। শঙ্খ নদীর নাব্যতা ফিরে আসার জন্য যেখানে যেভাবে দরকার আমাকে বলুন আমি সর্বদা চেস্টা করবো, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন ও জাতীয় নদী রক্ষা পরিব্রাজন দলকে আহবান করেন।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology