শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন খাগড়াছড়ি মানিকছড়িতে মাশরুম চাষে সফল ইঞ্জিনিয়ার সানি মারমা বান্দরবান রাজার মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আওয়ামীলীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন: সভাপতি মংপু ও সাঃ সম্পাদক নাছির পাহাড়ে কি নাম ধরে তারা আসছে সেটা আমাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাঙ্গামাটি শহরে হঠাৎ দেখা মিলল ‘দাগি-বসন্ত’ পাখি বান্দরবান রাজার মাঠ সংলগ্ন পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
নাইক্ষ্যংছড়িতে কারেন্ট পোকা দমনে আলোক ফাঁদ পদ্ধতি

নাইক্ষ্যংছড়িতে কারেন্ট পোকা দমনে আলোক ফাঁদ পদ্ধতি

আব্দুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় বাদামী গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকায় আক্রান্ত ধান ক্ষেত রক্ষায় কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে আলোক ফাঁদ পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে ধানের উৎপাদন ও খরচ দুটোই কমে যায় এবং পোকা দমনে কার্যকরী প্রদক্ষেপও মনে করছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিসের কৃষি কর্মকর্তাগন স্ব-স্ব ব্লকে কৃষকদের ধানক্ষেত কিভাবে পোকার আক্রমন থেকে বাঁচা যায়, তা হাতে কলমে শিখিয়ে দিচ্ছেন। তারই প্রেক্ষিতে গত বুধবার উপজেলা কৃষি অফিসের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল আলমের উপস্থিতিতে কৃষকরা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত বাইশারী সদর ব্লকের কয়েকটি জায়গায় আলোক ফাঁদ স্থাপন করেছে।

আলোক ফাঁদের সুফল সম্পর্কে হলদ্যাশিয়া এলাকার কৃষক ক্যবাই মার্মা বলেন, আকস্মিক ভাবে বাদামী গাছ ফড়িং বা কারেন্ট পোকার আক্রমন করে ধানক্ষেতে। এতে ক্ষতি যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন বাকী ধান ক্ষেত রক্ষায় বিভিন্ন প্রদ্ধতি হাতে কলমে শিখিয়ে দিচ্ছেন কৃষি কর্মকর্তারা। তারই একটি হচ্ছে আলোক ফাঁদ। আমরা মনে করতাম ফসলের সব পোকাই ক্ষতি করে। তবে আজকে এই আলোক ফাঁদ স্থাপন করে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তার মাধ্যমে জানতে পারলাম জমিতে উপকারী পোকাও থাকে। আলোক ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে উপকারী ও অপকারী পোকা শনাক্ত করে অপকারী পোকা দমন করা সহজ হয়েছে।

কৃষক আবুল হাশেম বলেন, এ পদ্ধতিতে আমরা আগের চেয়ে কম খরচে ক্ষতিকর পোকা দমন করতে পারছি। আবার উপকারী পোকাও বাঁচাতে পারছি।

বাইশারী সদর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল আলম জানান, আলোক ফাঁদ একটি সহজলভ্য ও স্বল্প খরচে পোঁকা দমন পদ্ধতি। কৃষকরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করে খুব সহজেই ক্ষতিকারক পোঁকামাকড় দমন ও উপকারী পোঁকা রক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুস বলেন- চলতি বছরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলায় রোপা আমনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ হাজার ৩ শত ৩৪ হেক্টর জমি। সে অনুযায়ী উক্ত লক্ষ্যমাত্রায় রোপা আমন আবাদ করা হয়েছে। তাছাড়া সরজমিনে পরিদর্শন করে কৃষকদের ধানের ক্ষতিকারক বিভিন্ন পোকা চিহ্নিতকরণ সহ পোকার আক্রমন ঠেকাতে আলোক ফাঁদের ব্যবহার সহ মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের বাদামী গাছ ফড়িং সহ বিভিন্ন পোকা সম্পর্কে কৃষকদের সাথে নিয়ে সচেতনতা মূলক সভা করার পরামর্শ দেন।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology