মোঃ আবদুর রশিদ,নাইক্ষ্যং ছড়ি প্রতিনিধিঃ
বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যং ছড়ি উপজেলায় এলাকায় অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব নির্মূল এবং অপুষ্টি জনিত শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ করার লক্ষ্যে আগামী ২২ জুন ২০১৯ পালন উপলক্ষ্যে এক ওরিয়েন্টেশন ও পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা পর্যায়ে সকল কর্মকর্তা সহ সরকারি-বেসরকারি সংগঠন, সাংবাদিক, এনজিও এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত আজ ১৯ই জুন বুধবার সকাল ১০টায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাঃ আবু জাফর মোঃ সেলিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার।
সভায় জানানো হয়, মানবদেহে ভিটামিন ‘এ’ তৈরি হয় না তাই এটা বাইরে থেকে গ্রহণ করতে হয়। শিশুর জন্মের প্রথম ৬ মাসে মায়ের দুধে পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘এ’ থাকে কিন্তু পরবর্তীতে শিশুর বাড়ন্ত সময়ে অধিক ভিটামিন ‘এ ’র চাহিদার প্রেক্ষিতে সম্পূরক খাদ্য হিসেবে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। অল্প সময়ে এটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি কৌশল যা পরবর্তী ৪-৬ মাস পর্যন্ত শিশুর দেহে ভিটামিন ‘এ’ স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম। পাঁচ বছরের নিচের বয়সের শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ সময়ে তাদেরকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। ভিটামিন ‘এ’ অভাবে চোখের ক্ষতিকর প্রভাবসহ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল বৃদ্ধি পায়, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, রক্তস্বল্পতা এবং ত্বকের শুষ্কতা বৃদ্ধি ও ত্বক মলিন হয়ে যায়।
সভাপতির বক্তব্যে ডাঃ সেলিম বলেন প্রতিটি শিশুকে ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করতে প্রয়োজন অভিভাবকদের সচেতন করা ও ব্যাপক প্রচার-প্রচারনার। এ জন্য তিনি সরকারি-বেসরকারি মিডিয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
ক্যাম্পেনের কার্যক্রম সর্ম্পকে, ৬-১১ মাস বয়সী সকল শিশুকে একটি নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো; ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো; শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হলে মায়ের দুধের পাশাপাশি পরিমাণ মত ঘরে তৈরি সুষম খাবার খাওয়ানোর জন্য সকলকে উদ্ভুদ্ধ করণের উপর গুরুত্ব আরোপ করে বক্তব্য রাখেন।
Leave a Reply