আবদুর রশিদ,নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে হুমকির মুখে পোল্ট্রি ফার্ম ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন একজন খামারীর ক্ষতির পরিমান দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার টাকা। কথাগুলু বললেন দীর্ঘ পাঁচ বছরের পোল্ট্রি খামার ব্যবসায়ী আর, টি, বহুমুখী ফার্মের মালিক ইউনিয়নের রাজঘাট এলাকার বাসিন্দা আজিজুল হক তালুকদার এর পুত্র মোঃ রাসেল।
তিনি বলেন, গত ২৬ শে মার্চ থেকে চলমান করোনাভাইরাস এর কারনে আমদানি রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় খাদ্য, ঔষধ সহ অন্যান্য কিছুর দাম বেড়ছে। সেই যাথে দোকান ও যানবাহন বন্ধ থাকায় মুরগী ও ডিমের দাম কমছে। দৈনিক খাবারে প্রতিটি মুরগীর জন্য অনেক টাকার খাবার প্রয়োজন। বেচা বিক্রি ও নাই, যার ফলে এখন চরম দুর্দশায় পরিণত।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আর টি পোল্ট্রি ফার্মে বর্তমানে লিয়ার ও বয়লার মিলে ৩০ লাখ টাকার মুরগীর মওজুদ রয়েছে। প্রতিদিন ডিম উৎপাদন হচ্ছে ২৭০০ মুরগীর। প্রতিটি ডিমের পিছনে খরছ পড়ছে বিক্রিতে ২ থেকে ৩ টাকা কমে। তাও স্থানীয় ভাবে কিছু ডিম বিক্রি হলে ও বাকী ডিম খামারে মওজুদ থেকে যায়। দিন দিন ব্রয়লার মুরগী আকারে বড় হয়ে যাচ্ছে।
বাইশারী ইউনিয়নে ছোট বড় মিলিয়ে প্রায় অর্ধ শতাধিক মুরগীর ফার্ম রয়েছে। সব গুলু ফার্মের একই দশায় পরিণত হয়েছে বলে জানালেন খামারীরা। তাদের চোখে মুখে এখন হতাশার ছাপ লক্ষন করা যায়।
আর টি পোল্ট্রি ফার্মের মালিক রাসেল জানান, সম্পূর্ণ নিজস্ব পদ্বতিতে ফার্ম করেছি। সরকারী ভাবে কোন ধরনের সহযোগিতা এপর্যন্ত তিনি পাননি। উপজেলা প্রানী সম্পদ বিভাগে কয়েক দফা গিয়ে কোন ধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ না পেয়ে হতাশা গ্রস্থ হয়েছি বলে ও জানান। তাছাড়া সরকারী কোন ব্যাংক থেকে লোন ও পাননি। বৈধভাবে অনুমোদন নিয়ে পোল্ট্রি ব্যবসা করছি, সরকারকে নিয়মিত রাজস্ব করও দিয়ে যাচ্ছি।
পোল্ট্রি ব্যবসায়ীরা জানান, এই দুর্যোগময় মুহুর্তে সরকারী ভাবে সহযোগিতা পেলে কোন রকম ক্ষতির পরিমান কাটিয়ে উঠবে বলে জানান তারা।
বাইশারীর পোল্ট্রি খামারীরা ক্ষতির পরিমান কাটিয়ে আসতে সরকারের প্রনোদনা সহযোগিতা কামনা করেছেন।
Leave a Reply