শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:১৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন খাগড়াছড়ি মানিকছড়িতে মাশরুম চাষে সফল ইঞ্জিনিয়ার সানি মারমা বান্দরবান রাজার মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আওয়ামীলীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন: সভাপতি মংপু ও সাঃ সম্পাদক নাছির পাহাড়ে কি নাম ধরে তারা আসছে সেটা আমাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাঙ্গামাটি শহরে হঠাৎ দেখা মিলল ‘দাগি-বসন্ত’ পাখি বান্দরবান রাজার মাঠ সংলগ্ন পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ি পল্লীতে চলছে প্রবারনা পূর্ণিমার প্রস্তুতি

নাইক্ষ্যংছড়ির পাহাড়ি পল্লীতে চলছে প্রবারনা পূর্ণিমার প্রস্তুতি

মোঃ আব্দুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ও আকষর্ণীয় ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। এই উৎসবকে ঘিরে ৩৭টি পাহাড়ী পল্লীগুলোতে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি।

নাইক্ষংছড়ি সদরের ধুংরী হেডম্যান পাড়া, মধ্যম চাক পাড়া, হেডম্যান চাক পাড়া, সোনাইছড়ি ইউনিয়নের মধ্যম পাড়া, মারইজ্ঞা পাড়া, হেডম্যান পাড়া, লামার পাড়া, জুমখোলা, বাইশারী ইউনিয়নের ধৈয়ারবাপের পাড়া, ধাবনখালী পাড়া, গুদাম পাড়া, ছাদুঅং পাড়া, হেডম্যা চাক পাড়া, নতুন চাক পাড়া, মধ্যম চাক পাড়া, উপর চাক পাড়া, আথুইমং পাড়া, মইঅং পাড়া, দৌছড়ি ইউনিয়নের ঐক্যজাই হেডম্যান পাড়া, ধর্মছড়া, কুরিক্ষ্যং, ঘুমধুম ইউয়িনের বাইশফাড়ি, মনজয় পাড়াসহ বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহারগুলোকেও সাজানো হচ্ছে বর্ণিল রূপে। পাহাড়ে পাড়ায়,পাড়ায়, মহল্লায় চলছে উৎসবের আমেজ।

বৌদ্ধ ভিক্ষু ও বৌদ্ধ ধর্মালম্বীদের সামাজিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃৃতিক অনুষ্ঠান প্রবারণা উৎসব। প্রবারণা কথাটির অর্থ বিশেষভাবে বারণ করা, নিবারন করা বা আত্মনিবেদন। ক্ষুদ্রস্বার্থ ও সঙ্কীর্ণতা পরিহার করার উৎসব হচ্ছে প্রবারণা উৎসব।

বৌদ্ধ ভিক্ষুরা প্রবারণাকে ‘বড় ছাদাং’ বলেও অভিহিত করেন। ‘ছাদাং’ অর্থ উপোস দিবস। প্রবারণা দিবসের আনুষ্ঠানিকতা হিসেবে বৌদ্ধরা উপোস, ব্রত পালন, পরিষ্কার পোশাকে বৌদ্ধ বিহারে সমবেত হয়ে বুদ্ধকে পূজা, ভিক্ষুদের আহার করানো, ধর্মসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মোমমবাতি ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের আয়োজন করেন।

২৭৮নং বাইশারী মৌজা হেডম্যান মংছানু চাক জানান, প্রবারণা পূর্ণিমায় বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তাদের ভেতরের অপবিত্রতা ও কলুষতা থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য তিন মাসব্যাপী নির্জন আশ্রমে বাস করেন। একে আশ্বিনী পূর্ণিমাও বলা হয়। এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ হচ্ছে আকাশকে আলোকিত করতে রঙ্গিন আলোর ফানুস উড়ানো। উৎসবকে ঘিরে আয়োজন করা হচ্ছে নানা অনুষ্ঠানেরও।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology