শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন
মো. আব্দুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আগামী ১৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে বেশ কয়েকজন চিহ্নিত ইয়াবা ব্যবসায়ী প্রার্থী হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রার্থী হওয়া সবাই মেম্বার পদের প্রার্থী। এর মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ীও রয়েছে একজন।
সরেজমিনে বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে জানা গেছে, ২০১৫ সনের ১১জুন নাইক্ষ্যংছড়ি থানার এসআই ষ্ট্যালিন বড়–য়ার নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১১৪০পিচ ইয়াবাসহ আটক করা হয় আবদুর রহমানকে। তিনি পরিবহণ শ্রমিক নেতা এবং আওয়ামী সমর্থক। এই ঘটনায় ওই দিন থানায় একটি মামলা রুজু হয় (মামলা নং-০৩)। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর জামিনে এসেছেন আবদুর রহমান। এবার সদর ইউনিয়নের ৪নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার পদে প্রার্থী হয়েছে তিনি।
অন্য প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী ও সাধারণ ভোটারদের মতে, এই ধরনের বির্তকিত ব্যক্তি নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা চলছে। এলাকাবাসীর ধারণা, ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কালোটাকার কাছে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে ত্যাগী ও যোগ্যরা। অনেকে বলেছেন মাদক ব্যবসায়ীরা জনপ্রতিনিধি হলে এলাকায় মাদকের বিস্তার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই প্রসঙ্গে জানতে আবদুর রহমানের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্ঠা করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি। তবে তার ঘনিষ্টজনরা ইয়াবা সংক্রান্ত বিষয়টি ষড়যন্ত্র বলে দাবী করেছেন।
এছাড়াও সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ৪, ৬, ৯, নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের ২, ঘুমধুম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে একাধিক ইয়াবা ব্যবসায়ী মেম্বার পদে প্রার্থী হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের তালিকা অনুযায়ী ইতোপূর্বে বান্দরবানের মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকায় অন্তত ২০জন নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাসিন্দা রয়েছে।
এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন- মাদকের বিষয়ে জনপ্রতিনিধির সংশ্লিষ্টতা এবং যোগ্য-অযোগ্য ঘোষনা করার ক্ষমতা রির্টানিং অফিসারের। তবে কোন মাদক ব্যবসায়ীকে প্রশাসন জনপ্রতিনিধি চোখে দেখে না, আইনের চোখে তারা ‘মাদক ব্যবসায়ী’। আর মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশ কাউকে ছাড় দেবে না। সঠিক তথ্য প্রশাসন পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply