শুক্রবার, ০৯ Jun ২০২৩, ০১:০০ অপরাহ্ন
আব্দুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ
ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বান্দরবান ও কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকার গরুর বাজার গুলোতে আবারো তৎপরতা শুরু করেছে নিষিদ্ধ আরএসও ও তুর্কি এনজিও’র কর্মিরা।
জঙ্গি তৎপরতার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে সরকার তুরস্ক ও মিয়ানমারের আরকান ভিত্তিক এসব এনজিও গুলো নিষিদ্ধ করে দীর্ঘদিন আগে। কিন্ত এদেশের অতিলোভি কিছু রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতা-কমীর্র সহায়তায় তারা বিভিন্ন ব্যানারে গোপনে এদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে অপতৎপরতা চালিয়ে আসছিল মাঠ পর্যায়ে। যেখানে ম্যানেজ ছিল অনেক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা-কর্মী।
বিশেষ করে মিয়ানমারের প্রাক্তন বাসিন্দা বা আরাকান ঘেষা বাংলাদেশীরাও ভোটার তালিকায় নাম লিখিয়ে এ সব অপতৎপরতা যোগ দেয় লোভের কারণে। তারা কোরবানীর ঈদ ছাড়াও বছরের বাকী সময় মসজিদ-মাদ্রাসা-অজুখানা-নলকূপ-এতিমখানা ও অন্যান্য খাতের অজুহাতে এখানে ব্যবসা চালায় সরকারের বিনা অনুমতিতে। তবে এতে ব্যবহার করা হয় দলীয় একাধিক হাইব্রীডদেরও। আবার অনেকেই রয়েছে ভিন্ন অবস্থানের প্রভাবশালীও। তারা ধর্মভিত্তিক কিছু রাজনৈতিক দলের ব্যানারের চেনা মূখও বটে। এসব করা হয় যেন প্রশাসনের ঝামেলা এড়াতেই।
রামুর গর্জনিয়া বাজারের গরু ক্রেতা শামসূল আলম,আহমদ উল্লাহ,মনির মিয়া, হাবিব,নেজাম ও নূরুল আমিন সহ অনেকেই জানান,তুর্কি ভিত্তিক এবং প্রাক্তন আরএসও ভিত্তিক সংস্থার লোকেরা প্রতিবছর গরু কিনে পাহাড়ি বাজার থেকে। তারা গর্জনিয়া বাজার থেকে অন্তত ৫ থেকে ৬ শত গরু কিনে নিয়ে যায় বিভিণœ স্থানে। আর প্রাক্তন আরএসও (রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশন) এর প্রতিনিধি কচ্ছপিয়া ইউনিয়নের হাইস্কুল পাড়ার আবদু রহিম,আনসারী ও আবদুছালাম এবং নাইক্ষ্যংছড়ির বিছামারার হাফেজ আজিজ,আর্দশ গ্রামের নুরুল ইসলাম ও কলেজ এলাকার নজির আহমদের নের্তৃত্বে আরো ৫ শত গরু ছাগল কিনে জঙ্গি তৎপরতায় সহায়তাকারী সরকার বিরোধিদের মাঝে বিতরণ করে তারা। ক্ষেত্র বিশেষে এসব পশু বা টাকা হাইব্রিড সরকারপন্থী লোকদের মাঝেও বিতরণ করা হয় গোপনে। যার মূল দায়িত্ব পালন করে গর্জনিয়া বাজারের কেন্দ্রিয় মসজিদের পূর্ব গেইঢের এক প্রভাবশালীর দোকানদার এবং নজির আহমদ। এভাবে গর্জনিয়া বাজারের দোকানদার থেকে প্রাক্তন আরএসওদের পাহাড়ি প্রাক্তন আস্তানার সদস্যদের রসদপাতিও সরবরাহ করা হয়ে আসছিল এ সূত্র গুলো মারফৎ। সূত্র গুলোর দাবী , বর্তমানেও হয় অন্যভাবে। যেভাবে মসজিদ-মাদ্রাসা বা অজুখানা হয়ে আসছে।
স্থানীয়রা জানান, বর্তমানে তুর্কি ও মধ্যপ্রাচ্যের অবৈধ টাকায় রামুর কচ্ছপিয়া, গর্জনিয়া, নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী,দৌছড়ি ও অন্যান্য অনেক এলাকায় অসংখ্য মসজিদ-মাদ্রাসা-অজুখানা-নলকূপ-এতিমখানা ও অন্যান্য এলাকায় অতি নিম্মমানে করা কাজ সরেজমিন তদন্ত করলে প্রমান পাওয়া যাবে।
গত ঈদুল ফিতরের সময়ও এসব লোকজন ইফতারীর নামে জমজমাট ব্যবসা করেছে নানা অজুহাতে। আর আসন্ন ঈদুল আজহার এ সময়েও তারা আবারও তৎপর হয়েছে। গরু-ছাগল ক্রয়ে সক্রিয় হয়েছে তারা। এ গোষ্টিটি আগামী রোববার ও বুধবার চাকঢালা বাজার, সোমবার ও বৃহস্পতিবার গর্জনিয়া বাজার, রোববার ও বুধবার বাইশারী বাজার থেকে কয়েক দিনে অন্তত: এক হাজার কোরবানীর পশু কিনে নিষিদ্ধ দু সংগঠনের সমর্থকদের মাঝে বিতরণ করবে। এখানে নদগ টাকাও বিতরণ করে অবস্থা বেগতিক দেখলে। এভাবে জঙ্গি তৎপরতার কারণেই দেশে আজ জঙ্গিদের ভয়াল অপকর্ম রোধ করা যাচ্ছে না।
Leave a Reply