শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০২:০০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
রাঙ্গামাটিতে দোলযাত্রা হোলি রঙের উৎসব পালিত বান্দরবানে উদযাপিত করল জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৩ বান্দরবান দলবনিয়া এলাকায় বন্যা দূর্গতদের মাঝে মোবাইল হেলথ ক্যাম্প ইউপিডিএফের ৪ নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে মানিকছড়িতে অবরোধ চলছে কলাবতী শাড়ি আগামীতে দেশের বাইরে রপ্তানিতে ছেয়ে যাবে – শাহ্ মোজাহিদ রোয়াংছড়ি তুলাছড়ি পাড়ায় প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে পিআইসি’র কমিউনিটি চার্টার বিষয়ক মতবিনিময় বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
বন্দুক ভাঙ্গায় মগপাড়া গ্রামে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন এলাকাবাসী

বন্দুক ভাঙ্গায় মগপাড়া গ্রামে কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন এলাকাবাসী

বিনয় চাকমা , রাঙ্গামাটিঃ
সারাদেশে চলছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এই সংক্রমণ প্রতিরোধে চলছে লকডাউন। এতে শ্রমিক সঙ্কটে অনেক কৃষকরা জমিনে পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না। এই সঙ্কটময় মুহূর্তে রাঙ্গামাটির বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে কুমড়া পাড়া ও মগপাড়া গ্রামের কৃষকদের পাশে দাঁড়ালো একই এলাকার এলাকাবাসী। এই দুর্যোগ মুহূর্তে যাতে কোন চাষী তার পাকা ধান নষ্ট না হয় সেজন্য এক ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ নিয়েছেন এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার (২৩এপ্রিল) সকালে ৪০ জনের একটি দল বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের মগপাড়া গ্রামের ১ জন কৃষকের পাকা ধান কাটার মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়। এসময়, কুমড়া পাড়া ও মগপাড়া এলাকার সমাজ সেবক মোহন চাকমা ও পদ্ম কুমার চাকমা, যুব সমাজের সভাপতি সিন্ধু মনি চাকমাসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

পর্যায়ক্রমে আরও অনেক চাষীর ধান কেটে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী। এদিকে দেশের এই সঙ্কটের সময় বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছাশ্রমে এভাবে ধান কেটে দেওয়ায় খুশি কৃষকরা।

কৃষক কষ্ণ চাকমা বলেন, ধান কাটার আগে চিন্তিত ছিলাম। এই করোনা সঙ্কটে শ্রমিক না পাওয়ার কারণে। হঠাৎ করে এলাকাবাসীরা সিদ্ধান্ত নিলো একে অপরের সহযোগিতা করবে। এই উদ্যোগ আমি সাধুবাদ জানাই। সকালে এসেই ধান কাটা শুরু করেন এলাকাবাসী। আমি খুবই আনন্দিত। আগে কখনও এভাবে দেখেনি।

ধান কাটতে আসা গ্রামের সামজ সেবক মোহন চাকমা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে জাতি এক ধরণের ক্রান্তিকাল পার করছেন। এই পরিস্থিতিতে মাঠের বেশিরভাগ কৃষকের ধান পেকে গেছে। শ্রমিক সংকটে চাষীরা ধান কেটে ঘরে ওঠাতে পারছেন না। তাই আমাদের সমাজের মুরব্বিরা এক আলোচনা করি এবং একে অপরের যাতে সহযোগিতা করতে পারি। স্বেচ্ছাশ্রমে চাষীদের পাকা ধান কেটে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এটা চলমান থাকবে। এভাবে সবাই এগিয়ে আসলে কৃষকদের কষ্ট লাঘব হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology