শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০২:৪২ পূর্বাহ্ন
আব্দুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ও কক্সবাজারের রামু উপজেলার গর্জনীয়া-ঈদগড় সীমান্ত বিচ্ছেদ করা আমিল্লারকুম ব্রীজটি ঝুঁকিপূর্ণ। উপজেলার বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কের “আমিল্লারকুম” নামক স্থানে তিন দশক পূর্বে নির্মিত ব্রীজের পিলারে ফাটল ও সংযোগ সড়কের একপার্শ্ব ভেঙ্গে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পথে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত এরশাদ সরকারের আমলে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের আওতায় নির্মিত হয় ব্রীজটি। ব্রীজের দক্ষিনে তৎকালিন সময়ে বিডিআর ক্যাম্প স্থাপন হওয়ায় “আমিল্লারকুম” নামক স্থানে ব্রীজটি আবশ্যক ছিল। সেই সুবাদে ব্রীজটি নির্মিত হলেও বর্তমানে উক্ত সুফল ভোগ করছেন অন্তত অর্ধলক্ষাধিক জনসাধারণ।
স্থানীয়রা আরো জানায়, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সাথে কক্সবাজারের রামু ও সদর উপজেলার প্রায় ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ বাইশারী-ঈদগড়-ঈদগাঁও সড়কে অপহরণ, ডাকাতির মত ঘটনা নিত্যনৈমত্তিক ব্যাপার। বিগত দুই বছরে ওই সড়কে অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন অপহরণ করে কোটি টাকার মুক্তিপনের বিনিময়ে ছেড়ে দিয়েছে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা। এই অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ এই ব্রীজটির সংযোগ সড়ক বিচ্ছিন্ন হলে প্রশাসনের নিয়মিত টহল ব্যাহত হবে এবং সন্ত্রাসীরা অপরাধকর্ম চালানোর পথ অনেকটাই পরিস্কার হয়ে যাবে।
স্থানীয় বাসিন্দা ও উক্ত যাতায়তকারী মোঃ জাফর আলম জানান, আমিল্লারকুম ব্রীজের সংযোগ যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে বাইশারীর সাথে ঈদগড়-ঈদগাঁও’র সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরবে। যার ফলে বিভিন্ন শস্য বাজারে আনা নেয়া খুবই কষ্ট সাধ্য হয়ে পরবে এবং খরচের পরিমান ও বেড়ে যাবে। বিকল্প সড়ক দিয়ে সিএনজি ও টমটম গাড়ী চলাচল করলেও বড় যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে না। এছাড়া যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে অর্থনৈতিক ভাবে বিপর্যয় হয়ে পড়বে বাইশারীর ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল হক মনু জানান, ব্রীজের সংযোগ সড়কে স্থায়ী ভাবে ওয়াল নির্মাণ করা না হলে অচিরেই সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হবে। দূর্ভোগে পড়বে অন্তত পঁঞ্চাশ হাজার মানুষ।
বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, “উক্ত ব্রীজের একাংশে ভাঙ্গন পরিদর্শনের পর, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে”।
Leave a Reply