শুক্রবার, ০৯ Jun ২০২৩, ০২:৪৮ অপরাহ্ন
আব্দুর রশিদ, নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধিঃ
পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী-ঈদগড় সড়কের উভয় পাশের্^ শোভাবর্ধণের জন্য লাগানো বৃক্ষ ছায়া গাছ গুলো কেটে সাবাড় করে ফেলেছে দূর্বৃত্তরা।
আজ ৪ নভেম্বর রবিবার গভীর রাতে গাছ কাটার সময়, খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য নুরুল আজিম লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছার পর দূর্বৃত্তরা দুটি গাছ কাটা অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এছাড়া ৩ নভেম্বর শনিবার দিনে দুপুরে বাইশারী-ঈদগড় সড়কের হাজিরপাড়া ও ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন সড়কে প্রায় অর্ধশতাধিক সরকারী গাছ কেটে সাবাড় করে ফেলেছে। এরই মধ্যে কিছু কিছু গাছ কাটার পর অন্যত্র সরিয়ে ফেলারও অভিযোগ উঠেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, গত শনিবার ৩ নভেম্বর বাইশারী-ঈদগড় সড়কের হাজির পাড়া ও ফরেষ্ট অফিস সংলগ্ন এলাকায় বিদ্যুতের খুটি ও তার লাগানোর কাজ করছিল পল্লী বিদ্যুতের লোকজন। তারা বিদ্যুতের খুটি ও তারের সাথে লাগোয়া কিছু কিছু গাছের ঢাল-পালা কর্তন করছিল। ঐ সুবাধে স্থানীয় বাসিন্দা হাজির পাড়ার সমাজপতি নামধারী ও বিদ্যুতায়নের সহযোগী হিসেবে পরিচিত হাজি¦ মোক্তার আহমদের নির্দেশে শোভাবর্ধন গাছ গুলো কেটে ফেলার কথা স্বীকার করেছেন স্থানীয়রা। এছাড়া ইউপি সদস্য নুরুল আজিমও ঘটনার বিষয়ে হাজ্বী মোক্তারের নির্দেশে সরকারী গাছ গুলো কেটে ফেলা হয়েছে বলে জানান।
উক্ত ঘটনায় বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলম অন্যান্য ইউপি সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছানোর পর দূর্বৃত্তরা পালিয়ে গেলেও শোভাবর্ধন গাছ গুলো কাটা অবস্থায় তারা রেখে যায়। ঐসময় ইউপি চেয়ারম্যান স্থানীয় লোকজন নিয়ে গাছ গুলো জব্দ করে পরিষদের জিম্মায় নিয়ে আসে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের গাছ কাটার বিষয়ে অভিযোগের তীর হাজ্বী মোক্তারের দিকে। তবে হাজ¦ী মোক্তার নিজেকে নির্দোষ দাবী করে বলেন, আমি শুধুমাত্র বিদ্যুাতায়নের লোকজনের সহযোগীতা করেছি। গাছ কাটার জন্য কাউকে বলি নাই।
বিদ্যুতের কাজে নিয়োজিত ফোর-ম্যান মোঃ শামিম জানান, তিনি তার লোকজন দিয়ে বিদ্যুত খুটি ও তারের উভয় পাশের ঢাল-পালা গুলো কেটেছেন। কাউকে গাছ কাটার জন্য বলা হয়নি।
এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা প্রকৌশলী তোফাজ্জল হোসেন ভূঁইয়া জানান, সরকারী অর্থায়নে নাইক্ষ্যংছড়ি এলজিইডি কর্তৃক বাইশারী-ঈদগড় সড়কের উভয় পাশের্^ সড়কের শোভাবর্ধণের বৃক্ষ ছায়া হিসেবে গাছ গুলো লাগানো হয়েছিল। দূর্বৃত্তরা গাছ গুলো কেটে নেওয়ার বিষয়ে তিনি মোবাইল ফোনে জানতে পারেন। বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে সরজমিনে তদন্ত পূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন বলেও এই প্রতিবেদককে মুঠোফোনে জানান।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলম বলেন, বাইশারী-ঈদগড় সড়কের উভয় পাশের্^ সরকারী অর্থায়নে শোভাবর্ধণের জন্য সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে গাছ গুলো লাগানো হয়েছিল। কিন্তু কিছু অসাধু কাঠ চোরাকারবারী প্রতিনিয়ত শোভাবর্ধন গাছ গুলো রাতের আঁধারে কেটে পাচার করে আসছে। তিনি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে জানান।
Leave a Reply