শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন খাগড়াছড়ি মানিকছড়িতে মাশরুম চাষে সফল ইঞ্জিনিয়ার সানি মারমা বান্দরবান রাজার মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আওয়ামীলীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন: সভাপতি মংপু ও সাঃ সম্পাদক নাছির পাহাড়ে কি নাম ধরে তারা আসছে সেটা আমাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাঙ্গামাটি শহরে হঠাৎ দেখা মিলল ‘দাগি-বসন্ত’ পাখি বান্দরবান রাজার মাঠ সংলগ্ন পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
বান্দরবানের পাহাড়ী পল্লীতে চলছে জুম কাটার ধুম

বান্দরবানের পাহাড়ী পল্লীতে চলছে জুম কাটার ধুম

রিমন পালিত,ষ্টাফ রির্পোটারঃ
পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসকারী আদিবাসিদের আদিপেশা জুম চাষ। অধিকাংশ পাহাড়ি এলাকার মানুষ জুম চাষের মাধ্যমে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে। জুম চাষ ফলনের সময় বিভিন্ন প্রকার শাক-সবজি,ফলজ বীজ বপন করে থাকে। ফসলের মধ্যে মারফা,মিষ্টি কুমড়র,টিটকরলা, বাঙ্গী, ভূট্টা, তিল, তুলা, মরিচ কাকনচাল, বিনি চাল, ও ধান অন্যতম।

প্রতিবছর এপ্রিল মাসের শেষের দিকে শুরু হয় জুমে ধান লাগানোর প্রক্রিয়া আর সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আরম্ভ হয় জুমে ধান কাটার উৎসব। জুম কাটার এ প্রক্রিয়া চলবে অক্টোবর মাস পর্যন্ত। এই জুম ধানের মাধ্যমে তারা সংগ্রহ করে রাখে সাড়া বছরের খোরাকী। তাই জুমের ফসল ভাল হলে হাসি ফুটে জুমিয়াদের মুখে।

বান্দরবানের, রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি, লামা ও আলীকদম উপজেলায় বসবাসকারী আদিবাসী পরিবারগুলো জুম চাষ করে থাকে। চার মাস পরিচর্যা করার পর এখন জুমিয়া পরিবার গুলো ব্যস্ত ফসল কেটে ঘরে তোলায়।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে এবার বান্দরবান জেলায় ৮৯৮৮ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে।এদের মধ্যে নিড়িখা,উফশি, পিডি, ককরো, বিন্নি গেলং, কানভূই কৃষি বিভাগের তথ্য মতে লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে ১৮১৭৮ মেট্রিক টন। তবে এ বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হওয়ায় এবং আবহাওয়া ভাল থাকায় উৎপাদনের লক্ষমাত্রা গতবছরের চেয়েও বেশী হবে বলে ধারনা কৃষি বিভাগের। এদিকে জুমের ফলন ভাল হওয়ায় খুশি জুমিয়ারাও ।

ফলন ভাল হওয়ায় জুমিয়া পরিবার গুলোর সারা বছরের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে মনে করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ফারুক হোসেন ।

পাহাড়ে বসবাসকারী আদিবাসী পরিবার গুলো জুমের ধানের উপর ই নির্ভর করে। ফসল ভাল হলে পাহাড়ের সহজ সরল এই মানুষগুলো দুমুঠো খেয়ে বছরটা পার করতে পারে। আর ফলন ভাল না সাড়া বছর তাদের কষ্টে দিনাতিপাত করতে হয়।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology