শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৮:২২ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন খাগড়াছড়ি মানিকছড়িতে মাশরুম চাষে সফল ইঞ্জিনিয়ার সানি মারমা বান্দরবান রাজার মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আওয়ামীলীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন: সভাপতি মংপু ও সাঃ সম্পাদক নাছির পাহাড়ে কি নাম ধরে তারা আসছে সেটা আমাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাঙ্গামাটি শহরে হঠাৎ দেখা মিলল ‘দাগি-বসন্ত’ পাখি বান্দরবান রাজার মাঠ সংলগ্ন পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
বান্দরবানে নিরীহ পাহাড়িদের গ্রামে চাঁদা আদায় ও হুমকি – কশৈহ্লা

বান্দরবানে নিরীহ পাহাড়িদের গ্রামে চাঁদা আদায় ও হুমকি – কশৈহ্লা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শান্তি চুক্তি দীর্ঘদিন ধরে অস্থিতিশীল পাহাড়ের পরিবেশ এ চুক্তি সম্পাদন হওয়ার পর অনেকাংশেই স্থিতিশীল হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি কিছু স্বার্থস্বেশী মহল ও দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রে সম্প্রীতির পাহাড়ে পুনরায় অশান্তি হওয়া শুরু করেছে। পাহাড় জুড়ে গ্রামে গ্রামে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা বড় অঙ্কের চাঁদা দাবি করছে, সেই সাথে আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদেরকেও হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে গ্রামবাসী ও স্থানীয় নেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে ক্যশৈহ্লা সাংবাদিকদেরকে এসব কথা বলেন।

আজ ৫ জানুয়ারি রবিবার সকাল ১১ টায় বন্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সন্মেলন কক্ষে বর্তমানে বান্দরবানে সমসাময়িক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলোচনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাজু মং মারমা, রাজবিলা ইউপি চেয়ারম্যান ক্যঅং প্রু, রেইছা ইউপি চেয়ারম্যান সাচ প্রু এবং পৌর  কাউন্সিলর অজিত কুমার দাস।

এসময় উপস্থিত ইউপি চেয়ারম্যানরা বলেন, আমরা আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি। আজ আমরা নিজ এলাকায় যেতে পারছি না। বিভিন্ন সময়ে ফোনে আমাদেরকে দেখা করতে বলে, চাঁদা দাবি করে হুমকি দেয়। জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে নিরীহ গ্রাম বাসিদের কি অবস্থা একটু ভেবে দেখুন। শুধু গ্রামবাসি ও জনপ্রতিনিধি নয় কেউএখন নিরাপদ নয়। আমরা নিরপত্তা সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।

জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা কারবারি ও গ্রাম বাসিদের অভিযোগের ভিত্তিত্বে তিনি বলেন, প্রান্তিক জনবসতি এমনকি শহরের নিকটবর্তী গ্রামগুলোতে জেএসএস, মগপার্টি, জেএসএস সংস্কার, ইউপিডিএফ গণতন্ত্র ইত্যাদি নামধারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠির সদস্যরা প্রকাশ্য দিবালোকে ঘর প্রতি ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা করে বাধ্যতামূলক চাঁদা প্রদান করতে অব্যহতভাবে হুমকী প্রদান করে যাচ্ছে। মায়ানমারের এ.এল.পি নামধারী সন্ত্রাসী এলাকায় মগপার্টির নামধারণ করে সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করছে। চাঁদা না পেলে গ্রাম বাসিদের নির্যাতনও করা হচ্ছে। এদের ভয়ে গ্রাম বাসিদের আর্থিক উপার্জনও বন্ধ হয়ে গেছে। ভয়ে কোথাও কাজে যেতে পারছে না। সন্ধ্যা নামলে এদের আনাগোনা বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটছে। মোটা চাঁদা দাবির কারনে আজ দেশের চলমান সার্বিক উন্নয়ন কাযকর্ম ব্যাঘাট সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছরিতে প্রতিদিন এসব কথা শুনি, এখন দেখি আমাদের বান্দরবানে চলে এসেছে। বান্দরবানকে আগের মতো শান্তি সম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে হলে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

শেষে তিনি বলেন, আমরা ফোন ট্র্যাকিং এর ব্যাপারে অনেক বার পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি। দীর্ঘদিন সময়ের পরও কোন পদক্ষেপ এখনো নেয়া হয়নি বলেই আজ সাংবাদিকদের কলমের লেখার মাধ্যমে আমরা এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে চায়।

বান্দরবানে শান্তিসম্প্রীতি ফিরিয়ে আনতে, এসব পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে স্বরাষ্ট্র-মন্ত্রী, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট এজেন্সির সহযোগিতা কামনা করেন।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology