রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৪৯ অপরাহ্ন
রিমন পালিত,ষ্টাফ রির্পোটারঃ
বান্দরবানে প্রেমিকের হাতে প্রেমিকাকে চার বন্ধু মিলে গনধর্ষণ করা হয়েছে। ২৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বান্দরবানের প্রান্তিক লেক এলাকার গহীন জঙ্গলে মো: আকতারের বাগানে সন্ধ্যা ৭ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত প্রেমিকসহ চার জন পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক গনধর্ষণ করে কুলসুমা বেগম (১৮) নামের প্রেমিকাকে ।
৩ অক্টোবর সন্ধ্যায় ভিকটিমের বাবা ,মা, ভাইসহ উপস্থিত থেকে বান্দরবান সদর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। এই সময় কুলসুমা বেগমের বাবা, মা ও বড় ভাইকে বান্দরবান প্রতিদিনের ষ্টাফ রির্পোটার ঘটানার সত্যটা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান, পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তারা এই কাজ করেছে । আমার মেয়ের ধর্ষণের উপযুক্ত শাস্তি দাবি জানায় এবং প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
আরো জানান, চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদ মলিক ছোবহান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বান্দরবানের প্রান্তিক লেক এলাকার নির্জন পাহাড়ে নিয়ে প্রেমিক ও তার তিন বন্ধু মিলে গণধর্ষণ করেছে । ধর্ষণকারীরা হলো বান্দরবান সদর উপজেলার সোয়ালক ইউনিয়নের ভাগ্যরকুল এলাকার দামীর হোসেনের পুত্র বেলাল উদ্দিন (২৯) সে (ভিকটিম) কিশোরীর প্রেমিক। অন্যরা হল একই এলাকার নুর মোহাম্মদের পুত্র, আবুল বশর (৩০) আব্দুর রশিদের পুত্র, মোঃ জয়নাল (৩০)মনু মিয়ার পুত্র, মোঃ নাছির (২৯)।
কুলসুমা বেগম এর বড় ভাই মো: জসীম জানান, বেলাল (ভিকটিম) সম্পর্কে আমাদের আতœীয় হয়। গত এক বছর যাবত তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ২৮সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বিকেলে প্রেমিক বেলাল উদ্দিন (ভিকটিম) কিশোরীকে পালিয়ে বিয়ে করার প্রস্থাব রাখলে সে সহজ সরল মনে রাজি হয়ে যায়। সে সুযোগে তাকে বান্দরবান কোর্টে বিয়ে করার কথা বলে সিএনজিতে করে বান্দরবানের প্রান্তিক লেক নামক স্থানে নিয়ে যায়। সেখানের নির্জন পাহাড়ে নিয়ে আরো তিনজন বন্ধুসহ মোট চারজন মিলে মেয়েটিকে প্রাণে মারার হুমকি প্রদর্শন করে জোরপূর্বক সবাই মিলে গনধর্ষণ করার পর মেয়েটিকে রাত ১১টার দিকে সিএনজি করে সাতকানিয়ার কেরাণীহাটে রেখে ধর্ষকরা কৌশলে পালিয়ে যায়।
মেয়েটি বলেন, কোর্টে বিয়ে করবে বলে আমাকে আইডি কার্ডসহ নিয়ে যেতে বলেন, আমি বাড়ী থেকে গোপনে বের হয়ে পদুয়ায় আসলে বেলাল আমাকে একটা সিএনজিতে তুলে কেরানিহাটের দিকে নিয়ে যায়। কেরাণীহাট থেকে সিএনজিতে আরো ৩জন লোক উঠেন। তারা আমাকে বান্দরবানের দিকে নিয়ে যায়। আমার সন্দেহ হলে আমি যেতে না চাইলে বেলাল আমাকে বান্দরবান কোর্টে বিয়ে করার জন্যে সবাই প্রস্থুত রয়েছে বলে জানাই।
মেয়েটি আরো বলেন, কোর্টে না নিয়ে প্রান্তিক লেকে একটা পাহাড়ের নির্জন এলাকায় নিয়ে সবাই মিলে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। তার পর আমার মুখে কাপড় বেধে চেপে ধরে বিভিন্ন ভাবে আমাকে শারীরিক নির্যাতন করে। আমাকে একের পর এক সবাই মিলে নষ্ট করে। আমি শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ি। রাত ১১টার পর আমাকে কেরানিহাটে রেখে সবাই পালিয়ে যায়। এবং আমার মোবাইল ফোনটিও ছিনিয়ে নেয়। সেখান থেকে এক দোকানদারের কাছে বিপদে পড়েছি বলে ২০টাকা খুজে নিয়ে গাড়ীতে করে পদুয়ায় আমার এক আতœীয়র বাড়ীতে এসে বাড়ী থেকে ঝগড়া করে চলে আসছি বলে আশ্রয় নিই।
এই বিষয়ে বান্দরবান সদর থানার তদন্ত বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক মো: এনামুল এই ষ্টাফ রির্পোটারকে জানান, মেয়েটির মা,বাবা ও ভাই ধর্ষণের অভিযোগ করে। অভিযোগের ভিত্তিতে বান্দরবান সদর হাসপাতালে মেয়েটিকে ডাক্তারি পরিক্ষায় ধর্ষণে সত্যতা পাওয়া গেছে। এতে একটি ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা অপরাধীদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছি। আশা করছি অতিদ্রæত অপরাধীদেরকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হবো।
Leave a Reply