রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১২:০৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বছরে দুই বার করে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন করে থাকি। আগামি ২২ তারিখে ভিটামিন এ প্লাস ১ম রাউন্ড ক্যাম্পেইন শুরু হবে। । ভিটামিন এ প্লাস কোয়ালিটি ম্যাচ করে দেখেছি কোন সমস্যা নেই ডা: অং সুই প্রু সিভিল সার্জন বান্দরবান।
আজ ২০ জুন বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবান সিভিল সার্জন কার্যালয় হল রুমে স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নে এই ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়। ২২ তারিখে বান্দরবানে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের নিয়ে একটি ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সিভিল সার্জন ডাক্তার অংসুই প্রু মারমা সভাপতিত্বে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন বিষয়ক সাংবাদিক সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ডা: মোঃ মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, এম ও সি এস, ডা: ক্যথোয়াই প্রু (প্রিন্স), সিনিয়র শিক্ষা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সাশৈচিং মারমা, বান্দরবান প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল ইসলাম বাচ্চু সহ সকল ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
সিভিল সার্জন ডা: অংসুই প্রু বলেন, মানবদেহে ভিটামিন ‘এ’ তৈরি হয় না তাই এটা বাইরে থেকে গ্রহণ করতে হয়। শিশুর জন্মের প্রথম ৬ মাসে মায়ের দুধে পর্যাপ্ত ভিটামিন ‘এ’ থাকে কিন্তু পরবর্তীতে শিশুর বাড়ন্ত সময়ে অধিক ভিটামিন ‘এ’র চাহিদার প্রেক্ষিতে সম্পূরক খাদ্য হিসেবে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। অল্প সময়ে এটি অত্যন্ত কার্যকরী একটি কৌশল যা পরবর্তী ৪-৬ মাস পর্যন্ত শিশুর দেহে ভিটামিন ‘এ’ স্বাভাবিক রাখতে সক্ষম। পাঁচ বছরের নিচের বয়সের শিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ সময়ে তাদেরকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। ভিটামিন ‘এ’ অভাবে চোখের ক্ষতিকর প্রভাবসহ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়, ডায়রিয়ার ব্যাপ্তিকাল বৃদ্ধি পায়, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়, রক্তস্বল্পতা এবং ত্বকের শুষ্কতা বৃদ্ধি ও ত্বক মলিন হয়ে যায়। সরকারি-বেসরকারি মিডিয়া, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তিনি আরো বলেন, ২২ তারিখে বান্দরবানে পর্যটকের সাথে যদি ৬ বছরের শিশু থাকে তাদেরকেও ভিটামিন এ প্লাস খাওয়ানো ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান।
Leave a Reply