সোমবার, ২০ মার্চ ২০২৩, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
কেএনএফ’র গুলিতে সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল রাঙামাটি শহরে কদর বাড়ছে পাহাড়ী ফুল ঝাড়ু লামায় ধর্ষকের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা লামায় কবি এমরানের “অনুভূতির সুর” বইয়ের মোড়ক উন্মোচন থানচিতে মাসব্যাপী বিজিবি অভিযানে শতাধিক একর জমিতে পপিখেত ধংস অবৈধ গরু পাচার রোধে বিজিবি তৎপর তবে নিরব প্রশাসন লামা-আলীকদম সড়কে দুর্ঘটনায় নারী-শিশুসহ আহত ৯ নাইক্ষ্যংছড়ি  সীমান্তে চোরাই গরু আনতে গিয়ে মাইন  বিস্ফোরণে  যুবক আহত বাইশারীতে জেলা পরিষদের উদ্যোগে এতিম ও অসহায়দের মাঝে শীত বস্র বিতরণ কৃষকদের সহায়তা করতে বান্দরবানে কৃষি ঋণ মেলা শুরু হলো
বান্দরবানে শীতের প্রকোপে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা

বান্দরবানে শীতের প্রকোপে বাড়ছে শিশু রোগীর সংখ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বান্দরবানে শীতের প্রকোপে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াসহ বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। শীতের শুরু থেকে প্রতিদিন ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩০-৪০জন রোগী বান্দরবান হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বান্দরবান ১০০ শয্যা হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে বেড সংখ্যা ১৬টি। বেড সংখ্যা কম হওয়ায় কষ্টের মধ্যে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে রোগীদের।

বান্দরবানের রুমা উপজেলা থেকে চট্রগ্রাম হাসপাতালে রেফার করা এক শিশু রোগীর অভিভাবক বান্দরবান প্রতিদিন এর নিজস্ব প্রতিবেদককে বলেন, বাচ্চার বয়স ২১ দিন হয়েছে। সরকারী হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড ও চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকায় কর্তব্যরত ডাক্তার চট্রগ্রাম হাসপাতালে রেফার করেছে। এছাড়া হাসপাতালের বাথরুম পরিস্কার না থাকায় খুব কষ্ট পেতে হয়েছে।

কর্তব্যরত সিনিয়র নার্সরা বলেন, শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সঙ্গে আত্মীয় স্বজন বেশি থাকায় আমাদের সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। আমরা একাধিকবার নিষেধ করলে তা মানছে না। যেখানে সেখানে ময়লা ফেলে পরিবেশ দূষিত করছে। আমরা শিশুদের যথাসম্ভব চিকিৎসা সেবা দিচ্ছি। তবে ঠাণ্ডাজনিত কারণে রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও সিট সংখ্যা কম।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের আর এম ও ডাঃ প্রত্যুষ পল ত্রিপুরা জানান, প্রতিদিন ঠাণ্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৩০-৪০জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। আজকের হাসপাতালের রের্কড অনুযায়ী ঠান্ডাজনিত কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগে আক্রান্ত ২-৩ মাস বয়সী শিশু রোগীর সংখ্যা মোট ২৩ জন। চট্রগ্রামে রেফার করা হয়েছে ৪জন শিশু রোগী। তাছাড়া বয়স্ক রোগী রয়েছে ১৩জন।

তিনি আরো জানান, বান্দরবান ১০০ শয্যা সদর হাসপাতালে শিশু ওয়ার্ডে ঠাণ্ডাজনিত কারণে শিশু রোগীর চাপ একটু বেশি।আমাদের হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি ও শিশু ডাক্তার বাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছে। হাসপাতালের শিশু রোগীদের জন্য আসন সংখ্যা ১৬টি। এতে শিশুদের চিকিৎসা সেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। অচিরেই আমরা নতুন ভবনে শিশু বিভাগ নিয়ে আসা হবে। তখন আর কোনো সমস্যা হবে না।

 

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology