রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:২৮ অপরাহ্ন
রিমন পালিতঃ স্টাফ রিপোর্টারঃ
টুং টাং শব্দে বান্দরবানে শেষ দিনে বেচা বিক্রির ধুম ব্যস্ততায় কামারের দোকানগুলোতে। রাত পোহালেই কোরবান,আর কোরবানকে কেন্দ্র করে পশু জবাই করার বড় বড় ছুরি, হাড় কাটার বড়-মাঝারি আকারের দা, চামড়া ছাড়ানোর বিভিন্ন মাপের চাকু, মাংস কাটার বড়-মাঝারি মাপের বটি শোভা পাচ্ছে দোকানে দোকানে।
শেষ সময়ে দোকানে দোকানে ভিড় বাড়ছে,সঙ্গে বেচাবিক্রিও বাড়ছে। কোরবানির পশু কেনার শেষ দিকে এসে চূড়ান্ত ভিড় পড়ে যায় এসব দোকানে। তাই ঈদের শেষ রজনীর অপেক্ষায় দা-বটি-ছুরি-চাকু বিক্রেতারা। কারণ ঈদুল আজহার কয়েকদিনে যা বিক্রি হয় তার কয়েকগুণ বেশি সরঞ্জামাদি বিক্রি হয় ঈদের আগের দিন ও রাত মিলে ।
বিক্রেতা সমিরন কর্মকার বলেন,দোকানে দোকানে ক্রেতাদের পদচারণা বাড়ছে। তবে হাতে কিছু সময় থাকার কারণে ক্রেতারা ব্যাপক দামাদামি করছেন। এতে তাদের জিনিসপত্র বিক্রি করাটা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি আরো বলেন,কি করার আছে, এটা তো ব্যবসা। দরদাম করেই ক্রেতা জিনিসপত্র কিনবেন, তবে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ক্রমেই বিক্রি ।
তারা আরো জানান, মূল বেচাবিক্রি হয় ঈদ রজনীতে। সারাদিন বিকিকিনির পর সন্ধ্যা থেকে ক্রেতা সাধারণ দোকানে দোকানে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে যেন হুমড়ি খেয়ে পড়েন। বর্তমানে প্রতিটি বড় মাপের ছুরি ৪-৭শ টাকা, চামড়া ছাড়ানোর চাকু ২০-৭০ টাকা, বিভিন্ন মাপের দা ৩শ-১০০০টাকা, বটি ২-৪শ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
কোরবানের আগে সারা বছরই কম রোজগার হলে ও বছরের এই ঈদুল আযহার পবিত্রতায় একটু বেশি আয়ে বেশি পরিশ্রমে বাড়তি রোজগার তাদের জীবন অনেকটাই স্বাবলম্বী হবে এমটাই মনে করে কামাররা।
Leave a Reply