শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
রাঙ্গামাটিতে দোলযাত্রা হোলি রঙের উৎসব পালিত বান্দরবানে উদযাপিত করল জাতীয় সমাজসেবা দিবস-২০২৩ বান্দরবান দলবনিয়া এলাকায় বন্যা দূর্গতদের মাঝে মোবাইল হেলথ ক্যাম্প ইউপিডিএফের ৪ নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে মানিকছড়িতে অবরোধ চলছে কলাবতী শাড়ি আগামীতে দেশের বাইরে রপ্তানিতে ছেয়ে যাবে – শাহ্ মোজাহিদ রোয়াংছড়ি তুলাছড়ি পাড়ায় প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারে পিআইসি’র কমিউনিটি চার্টার বিষয়ক মতবিনিময় বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন
মহালছড়িতে নিংপ্রুসাই দু’সন্তান শারিরীক বিকলাঙ্গ; সুস্থ দু’সন্তান ও বিকলাঙ্গ হওয়ার পথে

মহালছড়িতে নিংপ্রুসাই দু’সন্তান শারিরীক বিকলাঙ্গ; সুস্থ দু’সন্তান ও বিকলাঙ্গ হওয়ার পথে

অংগ্য মারমা, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায় অদূরে চৌংড়াছড়ি রোয়াজা পাড়াতে হতদরিদ্র নিংপ্রুসাই মারমা ও আরেমা মারমা পরিবারে চার ছেলে ও এক মেয়ে নিয়ে সংসার। বড় মেয়ে অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। তাদের দু’সন্তান উচিংমং মারমা (১৩)ও থুইসানু মারমা (১১) হাত ও পা চিকন হয়ে শারিরীক বিকলাঙ্গ। মেঝো ছেলে থুইসাচিং মারমা (৯) ও সবচেয়ে ছোট ছেলে সুঁইসাচিং মারমা (৭) সুস্থ দু’জনে শারিরীক বিকলাঙ্গ হওয়া পর্যায়। কষ্টের সংসার মাঝে বড় সন্তান উচিংমং মারমা জম্মের ছয় বছর বয়সে হঠাৎ জ্বর হওয়ার পর হাত পা অবশ হয়ে এখন দিনদিন পুরো শরীর শুকিয়ে যাচ্ছে। এদিকে থুইসানু মারমাও তিন বছর পর একই অবস্থায়। বাড়িতে দু’ভাই একেবারে পঙ্গু। স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে পারেনা। তাদের চলাফেরা একমাত্র অবলম্বন কাঠের টুকরো (পিঁড়াতে)। দু’সন্তানকে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ডাক্তার দেখানো পর কোন রোগ নির্নয় করতে পারি নিই।

স্থানীয় ডাক্তারা উন্নত চিকিৎসার পর্রামশ দিলেও টাকার অভাবে নিংপ্রুসাই সন্তানদের উন্নত চিকিৎসা করতে পারছে না। এ দু’জন বিকলাঙ্গ সন্তানদের চিকিৎসা দূরে থাক সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে নিংপ্রুসাই মারমা। তাদের সংসারে উপার্জন ব্যক্তি হলো নিংপ্রুসাই। তিনিও প্রতিবদ্ধী প্রায়। পাহাড়ের গাছ কাঁটতে গিয়ে কুঁদালে আঘাতে তার ডান পায়ে শিরা কেটে গেছে। চিকিৎসার পর সুস্থ হলেও স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতে পারে না। লাঠিতে ভর দিয়ে চলাফেরা করতে হয়।

চিকিৎসা অভাবে দু’সন্তান শরীর দিনদিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। মেঝো ভাই থুইসাচিং মারমা ও সবচেয়ে ছোট সন্তান সুইসাচিং মারমা দু’জনে বড় ভাইদের রোগের লক্ষণ দেখা দিয়েছে। হাত, পা এবং গোরায় গোরায় প্রচুর ব্যাথা হচ্ছে বলে জানান।

উচিংমং মারমা ১ম শ্রেণী ও থুইসানু মারমা শিশু শ্রেণীতে দু’জন কারিতাস আলোঘর (লাইট হাউজ) প্রকল্প চট্টগ্রাম অঞ্চলে অধীনে পরিচালিত খাগড়াছড়ি সিঙ্গিনালা আলোর দিশারী দৃষ্টি ও শারিরীক প্রতিবন্ধির শিক্ষালয়ে এক বছর লেখাপড়া করছেন। তাদেরকে সাপ্তাহের দু’দিন খাগড়াছড়ি জেলার প্রতিবন্ধির উন্নয়ন কেন্দ্রের বিশেষ ভাবে থেরাপি দেয়া হতো। তখন কিছুটা ভালো ছিল বলে জানান উচিংমং মারমা। কিন্তু এক বছর পর আলোর দিশারী শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠানটি আর্থিক সংকট থাকার বন্ধ হয়ে যায়। তার দুজনে নিজের বাড়িতে চলে যাওয়ার থেরাপি দেয়াও বন্ধ হয়ে যায়।

নিংপ্রুসাই মারমা পরিবারে দাবি বিশেষজ্ঞ ডাক্তারে মাধ্যমে পরীক্ষা ও নিরিক্ষা করে চার সন্তানের সুচিকিৎসার জন্য সরকারে পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান ব্যক্তির এগিয়ে আসালে তাদের জীবনে মঙ্গল বয়ে আনবে।

মহালছড়ি উপজেলার ১নং মহালছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রতন কুমার শীল বলেন, নিংপ্রুসাই পরিবারে দু’ সন্তান শারিরীক বিকলাঙ্গ, তাদের , দ’ুসন্তান শারিরীক বিকলাঙ্গ হওয়া পথে। সেজন্য এই ৪ জনকে উন্নত সুচিকিৎসার জন্র সরকারে হাত বাঁড়ানো জোর দাবি করেন।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology