রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৩:২৪ অপরাহ্ন
সরওয়ার কামাল,মহেশখালী প্রতিনিধিঃ
মহেশখালী উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ১ টি পৌরসভা নিয়ে গঠিত। প্রত্যেক ইউনিয়নের বাজারে পবিত্র ঈদুল আযহা কে সামনে রেখে কামারের দোকান গুলোতে টুং টাং শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে। কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছে কামররা। পশুর মাংস কাটার নতুন সরঞ্জামাদি তৈরি ও পুরাতন দা, ছুরি, বঁটি, চাপাতি শান দেয়ার ধুম পড়েছে। ঈদুল আযহা কে ঘিরে অনেকটা ব্যস্ত সময় পার করছে কামাররা।
কোরবান ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন কামারের দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রত্যেক কামারের দোকানে বিদ্যুৎচালিত শান মেশিন ব্যবহার করে অল্প সময়ে অধিক কাজ করছেন কামাররা। পাশাপাশি আগুনের বাদির মাধ্যমে লোহা পেটাচ্ছেন অন্য কর্মচারীরা। এছাড়া পাড়া-মহল্লায় মৌসুম ভিত্তিক কামাররা রেত (শান দেয়ার যন্ত্র) দিয়ে দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি ও অন্যান্য সরঞ্জাম শান দিচ্ছেন।
বড় মহেশখালী নতুন বাজারের কামার জীকু শীল জানান, কোরবানি ঈদে হাজার হাজার গরু-ছাগল কোরবানি হয়ে থাকে। পশু জবাই থেকে শুরু করে কোরবানির মাংস রান্নার জন্য চূড়ান্ত প্রস্তুতি পর্যন্ত দা, বঁটি, ছুরি, চাপাতি ও অন্যান্য সরঞ্জামাদি প্রয়োজন হয়। বছরের অন্যান্য সময় কাজ কম থাকলেও এ সময়ে আমরা কর্মব্যস্ত হয়ে পড়ি।
শাপলাপুরের বাসিন্দা যোগেশ চন্দ্র দে জানান, সারাবছর কষ্ট করে চলতে হয়। ঈদ এলেই আমাদের কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে যায়। একসময় এ পেশায় অনেক লোক ছিল কিন্তু এখন সেই আগের মতো কাজের লোকও মিলছেনা। তাই কাজের চাপ পরে বেশি।
হোয়ানক কেরুনতলীর বাসিন্দা হারাধন শীল বলেন, আধুনিক সব দা-ছুরি আসার ফলে ক্রেতা কমে গেছে। তাছাড়া কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিক্রিতে তেমন লাভ হচ্ছেনা।
ক্রেতারা জানান, একটি দা আকার ও লোহা ভেদে ১০০-৪০০ টাকা, ছুরি ৪০-৪০০ টাকা, হাঁড় কাটার চাপাতি একেকটি ৩’শ থেকে ৫’শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং পুরনো যন্ত্রপাতি মেরামত করতে ১’শ থেকে ৩’শ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন কামাররা।
তারা আরো বলেন, মনে হচ্ছে দাম একটু বেশি তারপরও কি করবো সামনে ঈদ। প্রয়োজনে নিতে হচ্ছে।
Leave a Reply