শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:১৬ অপরাহ্ন
সরওয়ার কামাল.মহেশখালী প্রতিনিধিঃ
মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়া মগচরকে মালেয়শিয়া বলে ৪১ রোহিঙ্গা কে রাতের আধারে নামিয়ে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় পাচারকারীরা।
আজ রবিবার ২৪ নভেম্বর ভোরে সোনাদিয়া মগচরে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের তৈরী করা মগ চরের বাড়ির পাশে রোহিঙ্গা নারী, পুরুষেদেরকে এক সঙ্গে দেখতে পায় বেজার নিয়োজিত কর্মীরা। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে।
পুলিশ ও মালয়েশিয়াগামি রোহিঙ্গা সূত্রে, সাগর পথে মালেয়শিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে গত পাঁচ দিন ধরে সাগরে ঘুরাতে থাকে। অবশেষে তাদেরকে মালেশিয়ার চর বলে নামিয়ে দেয়া হয় সোনাদিয়া মগচরে। সংবাদ পেয়ে মহেশখালী থানার পুলিশ সোনাদিয়ার চরে পৌছার পূর্বে ১৬ জন রোহিঙ্গা স্থানীয়দের সহায়তায় প্যরাবনে ও বিভিন্ন চিংড়ী ঘেরের খামারে ও বাসা বাড়িতে লুকিয়ে রাখে, পরে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গারা হলেন কুতুপালং ক্যাম্পের রুমানা আকতার, মোঃ অহিয়াজ, মোহছেনা আকতার, নুরুল হক, নুর ফাতেমা, আব্দুল হক, সানজিদা আকতার, ছাবেকুন্নাহার, নুরুজ্জাহান, ইসমত আরা, নুর আকলিমা, আছমা বিবি, নুর কায়দা, শামশুন্নাহার, সানজিদা আকতার, রুজিনা আকতার, জন্নাত উল্লাহ, মোঃ আজম, মোঃ জোবাইর, নাজিমুল হক,দনুমিয়া মিয়া, হুবাইব উল্লাহ, মোঃ কাইছার আলম, নুর হোসেন, মাহাবুবুর রহমান, মোঃ আনছার।
মহেশখালী থানার এস আই নুরুন্নবীর ও এএস আই ফিরোজের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে সোনাদিয়ার মগচর হতে ২জন শিশু সহ রোহিঙ্গাদেরকে উদ্ধার করে মহেশখালী থানায় নিয়ে আসে। বালুখালী ক্যাম্প, ঘুমধুম ক্যাম্প,ও কুতুপালং ক্যাম্প থেকে তারা দালালের মাধ্যমে মালয়েশিয়াগামি ট্রলারে উঠেন বলে জানান বান্দরবান প্রতিদিনকে।
এব্যাপারে মহেশখালী থানার ওসি প্রভাষ চন্দ্র ধর বলেন,উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গাদদের কে সংশ্লিষ্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাঠানোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে মালেশিয়ায় মানবপাচার কাজে জড়িত ব্যক্তিদের বিরোদ্ধে যাচাই বাচাই করে আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Leave a Reply