শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১১:৩৩ পূর্বাহ্ন
সরওয়ার কামাল মহেশখালীঃ
মহেশখালী উপজেলার মাতারবাড়ি ইউনিয়ন। যেখানে সরকারের উন্নয়নের মহাযজ্ঞ চলছে। উন্নয়নের সুবাতাস বইলেও সাধারন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হয়নি আজোও। বর্ষা আসলে তাদের কপালে চিন্তার ভাজ পড়ে যায়। ২০১৩ সালে কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের জমি অধিগ্রহন হওয়ার পর থেকে জলাবদ্ধতায় ভুগছে মাতারবাড়ির হাজারো পরিবার। পানিবন্দি হয়ে পড়ে এলাকার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, মাতারবাড়ির যে সমস্ত নিচু এলাকা রয়েছে ওই সকল নিচু এলাকায় বর্ষা মৌসুমে অতিবৃষ্টির পানি চলাচলের এক মাত্র পথ ছিলো ঠিয়াকাঠি ও রাঙ্গাখালী সুইচ গেইট। ২০১৪ সালে জমি অধিগ্রহন শেষে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা ওই দুটি সুইচ গেইট সহ মোট ৮টি সুইচ গেইট বন্ধ করে দেয়। ফলে প্রতি বছর বছর পানিবন্দী হয়ে জলাবদ্ধতার শিকার হয়ে আসছে সাধারন মানুষ।
এর মধ্যে ২০১৮ সালের মাঝামাঝি সময়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে একটি স্লুইট গেইট দিয়ে পানি চলাচলের অবস্থা করে দেয় ফলে কিছু দিন ভালো কাটে ওই এলাকার মানুষের জীবন জাপন ।
চলিত বছরের ২ জুলাই থেকে শুরু হয় লাগাতার ভারি বর্ষণ ফলে আবারো পানি বন্ধী হয়ে পড়ে ৮টি ওয়ার্ডের প্রায় ২৫ হাজরো পরিবার। ফলে স্কুল, মাদ্রাসা থেকে শুরু শিশুদের শিক্ষা কার্যাক্রম চরম ভাবে ব্যাহত হয়। এদিকে র্দীঘদিন পানি জমে থাকার ফলে পানি বাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে কিছু এলাকায় এবং খাবার পানির টিউবওয়লে গুলি পানির নিচে তলিয়ে গেছে ফলে খাবার পানির তিব্র সংকঠ দেখা দিয়েছে। সরজমিনে দেখা যায়,কচুতলা ,ফুলজানমুরা,জামাইপাড়া,বান্ডি সিকদার পাড়া,টেকপাড়া,বানিয়াকাটা,সাইটপা
বচুতলার বাসিন্দা আব্দু রহিম বলেন, আমার বাড়িতে আমার ছেলে ও স্ত্রী অসুস্থ্য ৫দিন ধরে বাড়ির চার পাশে পানি ফলে চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে যেতে পারিনা। বেশি দিন পানি জমে থাকার ফলে বিভিন্ন ধরনের পানি বাহিত রোগ ও সাপ খেচু বাড়িতে হানা দিচ্ছে আমরা কোথায় যাবো।
পূর্ব জামাই পাড়ার বাসিন্দা মো: কাইছার বলেন, আমরা প্রতি বছর বর্ষা আসলে এভাবে পানি বন্ধী হয়ে পড়ি আম রা কি পাপ করেছি, এমন নিয়তি কেনো আমাদের তায় জ্বলের সঙ্গে বসবাস করে যাচ্ছি ।
জানাগেছে, গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর জাপানের টোকিও থেকে জাইকার পরিচালক (বাংলাদেশ) তাকাশিয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মাতারবাড়ী পরির্দশন করে স্থানিয় মানুষের কষ্টের কথা শুনেছে জাইকার প্রতিনিধি দল। সরেজমিনে দেখতে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সুষ্ঠ ভাবে বসবাস করতে দ্রুত স্লুইস গেইট করে পানি নিষ্কাশনের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু অদ্যবধিও কোন প্রকার স্লুুইস গেইটের ব্যবস্থা না করায় এ বছরও পানিবন্ধি হয়ে পড়েছে হতভাগ্য মাতারবাড়ীর মানুষ। মাতারবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন, মুলত সুইচ গেইট বন্ধ করার ফলে এমন পরিস্তিতি সৃষ্টি হয়েছে আমাদের, বিষয়টি আমি জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত ভাবে অবহিত করেছি।বিগত বছরে আমার পরিষদের মাধ্যমে পানির নিষ্ককাশনের জন্য একটি সুইচ গেই স্থাপন করেছিলাম। আমরা দ্রুত এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের কাছে বিষয়টি জানিয়েছি। এবছরে অতি বৃষ্টির ফলে আবারো ডুবে যায় এই এলাকা গুলি, সাম্প্রতি সময়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জামিরুল ইসলাম মহোদয় এলাকা পরির্দশন করে স্থানীয়দের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন।
Leave a Reply