শুক্রবার, ২০ মে ২০২২, ০৪:১১ অপরাহ্ন
অংগ্য মারমা,খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ি জেলাস্থ মানিকছড়ি উপজেলার ৩নং যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদের স্থগিত নির্বাচন ২৫ জুলাই (বুধবার) অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী ক্যয়জরী মহাজন নৌকা প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৪ হাজার ১৫৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্ধি বিএনপি’র দলীয় প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে উদীয়মান যুব নেতা (ব্যবসায়ী) মো. জামাল উদ্দীন পেয়েছেন ১ হাজার ৮৪৮ ভোট আর স্বতন্ত্র প্রার্থী এক সময়কার ত্যাগী বিএনপি নেতা বর্তমান পল্লী চিকিৎসক মো. আলমাছ মিয়া আনারস প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ৮৫৯ ভোট।
সকাল ৮টা থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে একযোগে ৯টি কেন্দ্রে চলে ভোট গ্রহণ। শেষ হয় বিকাল ৪টায়। ভোট কেন্দ্রগুলো ঘুরে দেখা গেছে পুরুষ ভোটারদের তুলনায় মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মত। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হয়ে নির্বাচন। সীমানা জটিলতা কাটিয়ে দীর্ঘ সময় পর যোগ্যাছোলা ইউপি নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবে শেষ হওয়ায় এলাকাবাসি বেশ খুশি হয়েছেন। সন্ধ্যা ৯টার সময় উপজেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসার বিশ্বাস সুজন কুমার (অ:দ:) উপজেলা পরিষদ সভা কক্ষে যোগ্যাছোলা ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ক্যয়জরী মহাজন (নৌকা) কে চেয়ারম্যান হিসেবে, ইউপি সদস্য হিসেবে ১নং ওয়ার্ডে সুমন কান্তি চাকমা (ফুটবল) ২৪১ ভোট, ২নং ওয়ার্ডে মো. নুরুল ইসলাম (টিউবওয়েল) ২৫২ ভোট, ৩নং ওয়ার্ডে মো. আবদুল হামিদ (তালা) ১৭৬ ভোট, ৪নং ওয়ার্ডে মো. আ: মতিন মিয়া (বৈদ্যুতিক পাখা) ১৪৮ ভোট, ৫নং ওয়ার্ডে মো. শাহালম মিয়া (মোরগ) ২৯৭ ভোট, ৭নং ওয়ার্ডে মো. ইদ্রিস মিয়া (ফুটবল) ৭৬৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। এছাড়াও ৬নংওয়ার্ডে মো. তৈয়ব আলী, ৮নং ওয়ার্ডে মো. আবদুল মতিন, ৯নং ওয়ার্ডে মো. জয়নাল আবেদীন বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হিসেবে ১,২ ও ৩নং ওয়ার্ডে ম্রাসাইন্দা মারমা (বক) ৮৪২ ভোট ৪,৫ ও ৬নং ওয়ার্ডে মোসা: শাহিনা আক্তার ( মাইক) ভোট, ৭,৮ ও ৯নং ওয়ার্ডে বুদু লক্ষী ত্রিপুরা (তালগাছ) ১৪৪৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে দুপুরে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আলমাছ মিয়া জাল ভোট ও কারচুপির অভিযোগ করেন। একই অভিযোগ করেন বিএনপির প্রার্থীও। অপরদিকে নির্বাচনকে অবাধ,সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন ব্যাপক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিটি কেন্দ্র ১৫ জন আনসার সদস্য ও ৮জন পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি পুলিশ ও বিজিবি’র টহল ছাড়াও ১জন জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট ও ৪জন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট ভ্রাম্যমান হিসেবে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে একযোগে নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা হলেও সীমানা বিরোধ সংক্রান্ত জনৈক ব্যক্তির মামলার প্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে প্রচারণার শেষ মূহুর্তে উপজেলার ৩নং যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশনার। ফলে দীর্ঘ সময় পর মামলার নিস্পত্তি হওয়ায় গত ১০জুন তফশীল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, সাধারণ সদস্য পদে ২৫ ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ৮ জন লড়ছেন। ইউনিয়নটিতে মোট ভোটার পুরুষ ৪৩৯০ জন, মহিলা ৪৪৫৩জন।
Leave a Reply