সোমবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২১, ০৮:১৬ অপরাহ্ন
আংগ্য মারমা, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলায় ৩নং যোগ্যাছোলা ইউনিয়নের গঞ্জ পাড়া, রওশনআলী, নতুন পাড়ার, রাঙ্গাপানিসহ ৪টি গ্রামের প্রায় ছয় হাজার লোকের একটি ব্রীজের অভাবে চারটি গ্রামের জনদূর্ভোগ রয়েছে। গ্রামবাসীরা গঞ্জপাড়া হতে যোগ্যাছোলা সড়কের যাতায়াতে হালদা নদীর পার হতে হয়। প্রত্যকদিন হাজারো লোক অফিসের কাজ ও মাদ্রাসা, প্রাইমারি স্কুলগামী কোমলমতি শিশু ও নারীসহ সকল বয়সী হাসপাতালের জরুরী চিকিৎসা নিতে যাওয়া এবং এলাকায় উৎপাদিত ফসল বাজারে কেনাবেচার নিকস্থ যোগ্যাছোলা, মানিকছড়ি বাজারে যেতে হয়।
দূর্ভোগের প্রধান উৎস শুষ্ক মৌসুমে যতটা না শান্ত থাকে, বর্ষা মৌসুমে তার দ্বিগুণ ভয়াল রূপ নিয়ে হাজির হয় নদীর পানি। আর তখনি শুরু হয় জনদূর্ভোগ। বর্ষা মৌসুমে নদী পারাপারের খুবই করুন। আপন প্রান অতল পানিতে ভাসিয়ে একরাশ দীর্ঘশ্বাস ফেলে সাঁতার কেটে পারাপার করে এই গ্রামের স্কুলগামী ছেলে মেয়ে থেকে শুরু করে সকল শ্রেণির লোকজন। কখনো নির্বিঘেœ পৌঁছে কখনোও মৃত্যুর সামনে থেকে অনেক কষ্টে কিংবা অন্যদের সাহায্যে পাড়ে ভিড়তে হয়। স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা স্কুল ড্রেস,বই খাতা, কলম,যাবতীয় সকল জিনিস একটা বড় হাঁড়ি (ডেক্সি) মধ্যে দিয়ে সাঁতারে যোগ্যাছোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মানিকছড়ি গিরিমৈত্রী কলেজের যেতে হয় ।
অনেক সময় স্রোতের সাথে পেরে ওঠা খুব কঠিন হতো। ব্রীজ না থাকায় বর্ষার মৌসুমে শিশুদের সাপ্তাহিক ব্যাপী স্কুলের যাওয়া বন্ধ থাকে। এতে শিশুদের লেখাপড়া ক্ষতি হয়। অন্য দিকে বর্ষার মৌসুমে হালদা নদী পারাপার করতে গিয়ে অনেক শিশু পাশাপাশি সাধারণ লোকের প্রাণ হারিয়েছে। একটি ব্রীজ নির্মাণ করলে শিশুদের লেখাপড়ার, চিকিৎসা, অফিস-আদালত, ব্যবসা-বানিজ্য প্রসার ও বাসিন্দাদের সুবিধাজনক চলাচল করতে পারবে।
গঞ্জপাড়া বাসিন্দার অধ্যয়নরত রাঙ্গামাটি সরকারি কলেজের ইংরেজী বিভাগে ৩য় বর্ষে শিক্ষার্থী উক্রা মারমা (রিতা) বলেন, আমার অনেক দিনের অভিজ্ঞতা। সেসময় গুলো মনে পরলে এখনো গাঁ শিউরে ওঠে। কখন এসব দূর্ভোগের অবসান হবে জানিনা।
গঞ্জপাড়া বাসিন্দা থোয়াই অংগ্য মহাজন বলেন, এলাকার ওপর কবে সরকারের সুনজর পড়বে, কবে এখানে একটা ব্রীজ নির্মাণ হবে। একটি ব্রীজ নির্মাণ করলে এলাকায় কয়েক হাজার গ্রামবাসিরা দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পাবে। এলাকাবাসীর প্রাণের দাবী একটা ব্রীজ নির্মাণ করা।
৩নং যোগ্যাছোলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ক্যয়জরী মহাজন বলেন, ৪টি গ্রামবাসী চলাচলে জন্য সরকারে সুদৃষ্টি মাধ্যমে একটি ব্রীজ দ্রুত নির্মাণ করা জরুরী প্রয়োজন।
Leave a Reply