শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৫৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৬শ পরিবারকে শক্তি ফাউন্ডেশনের ত্রাণ বিতরণ নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড় ধ্বসে শিশুসহ একই পরিবারের আহত ৪ বাান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে বাল্যবিবাহ নিরোধকল্পে বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন করল গ্রীনহিল দি মারমা কো অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন ৯ম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন খাগড়াছড়ি মানিকছড়িতে মাশরুম চাষে সফল ইঞ্জিনিয়ার সানি মারমা বান্দরবান রাজার মাঠে শুরু হতে যাচ্ছে গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট আওয়ামীলীগের ত্রি- বার্ষিক সম্মেলন: সভাপতি মংপু ও সাঃ সম্পাদক নাছির পাহাড়ে কি নাম ধরে তারা আসছে সেটা আমাদের কাছে প্রাধান্য পাচ্ছে না- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাঙ্গামাটি শহরে হঠাৎ দেখা মিলল ‘দাগি-বসন্ত’ পাখি বান্দরবান রাজার মাঠ সংলগ্ন পুকুর থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার
রাঙ্গামাটিতে গুর্খা ভাষা, সংস্কৃতি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে সেমিনার

রাঙ্গামাটিতে গুর্খা ভাষা, সংস্কৃতি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে সেমিনার

বান্দরবান প্রতিদিন নিউজ ডেস্কঃ
রাঙ্গামাটিতে গুর্খা জনগোষ্টীর গোরখালী ভাষা, সংস্কৃতি ও বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে একটি শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটে।

রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা এবং রাঙ্গামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের আয়োজনে শুক্রবার ৩১ জানুয়ারী সকালে অনুষ্ঠিত সেমিনারে বক্তব্য রাখেন রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউটের পরিচালক রুনেল চাকমা, রাঙ্গামাটির বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক ও লেখক শিশির চাকমা, রাঙ্গামাটি মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ম্যানাজার রনজিত বাহাদুর রায়, গুর্খা কালচারাল ফোরামের সদস্য সুজিত নেওয়ার, রুপশ্রী নেওয়ার’সহ গুর্খা জনগোষ্টীর নের্তবৃন্দরা।

১৮৭১ সনে পার্বত্য চট্টগ্রামে গুর্খা জনগোষ্ঠির আগমন, গুর্খা রেজিমেন্ট, ভাষা, সংস্কৃতি কৃষ্টি কালচার ও পূর্ব ইতিহাস নিয়ে অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ পাঠ করেন সাংস্কৃতিক সংগঠন সুর নিকেতন ও গুর্খা কালচারাল ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মনোজ বাহাদুর গুর্খা।

অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, প্রত্যেক জাতির নিজেদের ঐতিহ্য, ভাষা শিক্ষা ও সংস্কৃতি নিজেদের টিকিয়ে রাখতে হবে। অন্য কেউ এসে সেগুলো টিকিয়ে রাখবেনা। আর এই সকল বিষয়গুলো বাঁচিয়ে রাখতে হলে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে।  অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর তুলানায় শিক্ষাদীক্ষায় গুর্খা জনগোষ্ঠীরা অনেক অনেক পিছিয়ে। তাই আমাদের নতুন প্রজন্মকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। গুর্খা জনগোষ্টীর যে সমস্ত ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি কর্মকান্ড রয়েছে সেগুলো উপস্থাপনের মাধ্যমেও জনপ্রীয়তা অর্জন ও পরিচিতি লাভ করা সম্ভব। তাই সংস্কৃতিগুলোকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে উপস্থাপন করতে হবে।

বক্তারা আরো বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সকল সম্প্রদায়ের প্রতি আন্তরিক। তাই অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠির ন্যয় গুর্খা সম্প্রদায়কেও নৃ-গোষ্ঠির তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করে স্বীকৃতি প্রদান করেছে। তাই সরকার প্রদত্ত সকল সুযোগ সুবিধাগুলোকে কাজে লাগিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে।

উল্লেখ, বর্তমান সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ২৩ মার্চ ২০১৯ তারিখের প্রকাশিত গেজেটে বাংলাদেশের মোট ৫০ টি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির তালিকায় গুর্খাদের ৩০ নম্বর ক্রমিকে অন্তভুক্ত করা হয়েছে। গুর্খাদের কাছে এ স্বীকৃতি এক অনন্য আর্শিবাদ।

ভালো লাগলে সংবাদটি শেয়ার করুন....

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2018 Bandarban Pratidin.com
Design & Developed BY CHT Technology